চার পুরনিগমের ভোটের দিন সবথেকে বেশি অভিযোগ এসেছিল আসানসোল ও বিধাননগর থেকে। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া নির্ঝঞ্ঝাট হয়েছে। কোথাও কোনও পুনর্নির্বাচনের প্রয়োজন নেই। কিন্তু এখনই হাল ছাড়তে চাইছে না বঙ্গ বিজেপি শিবির। বিধাননগর ও আসানসোলের নির্বাচন বাতিল করার দাবিতে সরব হয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই মর্মে রাজ্য় নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি রবিবার। এর আগেও বিজেপি নেতৃত্ব বার বার সরব হয়েছিল, পুরভোটের অশান্তি নিয়ে। কিন্তু তাতে বিশেষ কাজ হয়নি। এই পরিস্থিতি ভোটগণনা পর্বের আগের সন্ধ্যায় ফের রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বিধাননগর ও আসানসোলে পুনরায় ভোট করানোর দাবি তুলেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো ওই চিঠিতে সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, বিধাননগর ও আসানসোলে পুরভোটের নামে কার্যত প্রহসন চলেছে। ছাপ্পা ভোট এবং বুথ দখলেরও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। বিজেপি শিবিরের বক্তব্য, যেভাবে নির্বাচন হয়েছে, তাতে ভোটগণনায় আম জনতার রায় প্রতিফলিত হবে না। সেই কারণে, এবার আসানসোল ও পুরনিগম পুরনিগমের প্রতিটি বুথেই পুননির্বাচনের দাবি তুলেছেন সুকান্ত মজুমদাররা।
উল্লেখ্য সুকান্ত মজুমদার তাঁর চিঠিতে ১০ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের মন্তব্যের কথাও তুলে ধরেছেন। উল্লেখ্য, আদালত রাজ্য় নির্বাচন কমিশনকে তার দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছিল ভোট প্রক্রিয়া যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করার দায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনেরই। বিধাননগর পুরনিগমের ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন আছে কি না, সেই সংক্রান্ত মামলায় এই কথা বলেছিল হাইকোর্ট।
কলকাতা হাইকোর্টের সেই কথা তুলে ধরে সুকান্ত মজুমদার তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আধাসামরিক বাহিনী না থাকার ফলে বিধাননগর ও আসানসোল পুরনিগমের নির্বাচনে ব্যাপক হিংসা, ছাপ্পা ভোট, বুথ দখল থেকে শুরু করে ভোটারদের প্রভাবিত করা এবং পোলিং এজেন্টদের ভয় দেখানোর মতো অভিযোগ উঠে এসেছে। আর এই গোটা পর্বটাই হয়েছে রাজ্য পুলিশের সামনেই। তারা কার্যত নিরব দর্শকের ভূমিকাতেই ছিলেন। অনেক ক্ষেত্রে ভুয়ো ভোটার ধরা পড়েছিল, রাজ্য পুলিশ তাদের পালাতে সাহায্য করেছে।
Be the first to comment