কয়েকদিন ধরে নাগাড়ে পুলিশের বিরুদ্ধে নালিশ করে আসছেন ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। তিনি বচসতেও জড়িয়েছিলেন পুলিশের সঙ্গে। নালিশ ঠুকেছেন নির্বাচন কমিশনেও। বুধবার এই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রচারে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন। আঙুল উঁচিয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন বলে অভিযোগ।
ঠিক কী ঘটেছে ভবানীপুরে? আজ, বুধবার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রচারে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পুলিশের পক্ষ থেকে যে রুট ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল হঠাৎই তা ভঙ্গ করেন রাজ্য সভাপতি বলে পুলিশের অভিযোগ। এমনকী কোভিড–বিধি মানা হচ্ছিল না বলেই অভিযোগ। তখন পুলিশ নির্দিষ্ট রুটে যেতে বললে তর্ক শুরু করে দেন। তখন পুলিশ গ্রেফতারের হুঁশিয়ারি দেন। তাতে আরও বচসা বাড়ে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভোট প্রচার।
এদিন দেখা যায়, কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথের সঙ্গে চরম বচসায় জড়িয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনের পিছন দিক থেকে বিজেপির প্রচার শুরু করে। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়িতে বাড়িতে লিফলেট বিলি করতে দেখা যায় রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে। কিন্তু যেখানে ব্যারিকেড ছিল তা অতিক্রম করে যেতে বাধা দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। তা নিয়েই বচসার সূত্রপাত।
তখন পুলিশের কাছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানতে চান কেন তাঁকে আটকে দেওয়া হচ্ছে? তখন তাঁকে পুলিশ জানিয়ে দেন, এখানে যাওয়া যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তখন তিনি তর্ক জুড়ে দেন। পুলিশও পাল্টা জানিয়ে দেয়, রুট এবং আইম লঙ্ঘন করলে গ্রেফতার করতে বাধ্য হবো। তখন বচসায় জড়ান পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে সুকান্ত মজুমদার।
এদিন প্রচুর পরিমাণে বিজেপি কর্মীরা জড়ো হন, তাঁদের সবার করোনা–টিকা নেওয়া হয়নি। তাই এত সংখ্যক মানুষকে জড়ো করা যাবে না বলে জানায় পুলিশ। পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশকে উদ্দেশ্য করে সুকান্তবাবুকে বলতে শোনা যায়, তিনি একজন সাংসদ। তাঁকে এভাবে আটকানো যায় না। এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তাপস রায়ের কটাক্ষ, ‘সভ্যতা, শালীনতাবোধ যদি বিজেপি নেতাদের না থাকে তখন এমন ঘটনা তো ঘটবেই।’
Be the first to comment