বিজেপির রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই বাংলার বুদ্ধিজীবীদের প্রতি খড়্গহস্ত হলেন সুকান্ত মজুমদার ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রতি তোপ দেগে তিনি প্রতিশ্রুতি দিলেন যে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এ রাজ্য থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আরও বেশি আসন উপহার দেবেন। তাঁর দাবি, “২৪-এ মোদীই প্রধানমন্ত্রী ৷ এটা বিধির লিখন ৷”
মঙ্গলবার বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতিকে সংবর্ধনা জানিয়ে তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁর পূর্বসূরী দিলীপ ঘোষ। তিনি বললেন, “আমি বড় দায়িত্ব পেয়েছি ৷ তবে এ রাজ্যে সুকান্তই আমার ক্যাপ্টেন ৷” তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এদিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ তিনি আজ জঙ্গিপুরে রয়েছেন বলে জানান সুকান্ত মজুমদার ৷
মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির দায়িত্ব নিয়েই শাসকদলের বিরুদ্ধে গলা চড়ালেন সুকান্ত মজুমদার ৷ শুরুতেই তিনি নিশানা করেন বুদ্ধিজীবী ও বাংলার নাগরিক সমাজকে ৷ বলেন, “কোনও জায়গায় বিরোধী দল করার জন্য খুন হতে হয়? কোনও রাজ্যে ভোটের পর একটাও প্রাণ যায়নি ৷ তবু কোনও বুদ্ধিজীবীরা সে সব নিয়ে সরব হন না ৷ কিন্তু তথাগতদা বা দিলীপদা কিছু বললেই তাঁরা হাজির হয়ে যান ৷ সন্ধেবেলায় শ্যাম্পেনের বোতল হাতে নিয়ে তাঁরা সমালোচনায় বসে পড়েন ৷ বাংলার বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজকে প্রশ্ন করতে চাই, এই বাংলা কি রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শরৎচন্দ্র, বঙ্কিমচন্দ্রের বাংলা? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো নাকি সততার প্রতীক। তাহলে তাঁর পরিবার কীভাবে ৩৫টি প্লটের মালিক? এ ব্যাপারে বুদ্ধিজীবীরা নির্বিকার ৷” নাম না-করে এ দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন সুকান্ত মজুমদার ৷
মঙ্গলবার সুকান্ত মজুমদারকে সংবর্ধনা জানিয়ে সর্বতভাবে তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বিজেপির বিদায়ী রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ তিনি বলেন, “বিরাট পরিবারের মুখিয়া হলেন সুকান্ত মজুমদার ৷ খেলতে খেলতে যে দল রানার্স হয়েছে, তার নেতা তিনি ৷ আমরা সবাই তাঁর সঙ্গে রয়েছি ৷ আমি বড় দায়িত্ব পেয়েছি ৷ তবে আমি যখন এ রাজ্যে থাকব, তখন আমি একজন সাধারণ কর্মী ৷ আর তিনি আমার ক্যাপ্টেন, তিনিই আমার নেতা ৷”
দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে এ দিন শাসকদলের বিরুদ্ধে গর্জনের থেকেও বেশি গুরুত্ব পায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্তুতি ৷ তিনি বলেন, ‘‘একজন সাধারণ ঘর থেকে উঠে এসে দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোদি ৷ উগ্রপন্থা থেকে শুরু করে করোনা অতিমারি, সব ক্ষেত্রে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে তাঁর যোগ্য নেতৃত্ব ৷’’
দিলীপের কথায়, শুধু কলকাতাই নয়, বাংলার পিছিয়ে পড়া প্রত্যন্ত এলাকা থেকে কর্মীদের তুলে এনে নেতা তৈরি করার নিদর্শনও একমাত্র বিজেপিই রাখতে পারে ৷ এ প্রসঙ্গে তিনি সুকান্তের পাশাপাশি উল্লেখ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম ৷
Be the first to comment