
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- সুকান্তর হাতেই ব্যাট? না কি বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নামাবে বঙ্গ বিজেপি জল্পনা তুঙ্গে। আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচের শুরুতে দল তাদের প্লেয়িং একাদশের বাইরে রাখে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’কে। দরকার বুঝে ব্যাট বা বলের জন্য অধিনায়ক এই ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’দের ব্যবহার করে। তেমনই কি বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবির বাংলার জন্য ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নামবে?
দুটি নির্বাচন ঘিরে রাজ্য বিজেপি-তে ব্যস্ততা তুঙ্গে। প্রথমটি রাজ্য সভাপতি নির্বাচন, দ্বিতীয় হল, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্য বিজেপি-র পরবর্তী রাজ্য সভাপতির উপর গুরুদায়িত্ব হল, ছাব্বিশের ভোট। পদে বসেই তাঁর ‘অ্যাসিড টেস্ট’। এহেন আবহে বঙ্গ বিজেপির চালকের আসনে কে বসবে সেটা জানা এখন সময়ের অপেক্ষা। তবে সুকান্ত মজুমদার কি আবার দলের রাজ্য সভাপতি পদে থাকবেন, নাকি বিজেপি নতুন কাউকে দায়িত্ব দেবে এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এই জল্পনার মাঝেই আবার উঠে এসেছে একাধিক নাম।
বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতির দৌড়ে রয়েছেন রাজ্যের বিজেপির সব থেকে সফল সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মহিলা মুখ হিসাবে উঠে আসছে অগ্নিমিত্রা পলের নামও। এছাড়াও একাধিক নাম নিয়ে গুঞ্জন চলছে। আলোচনায় রয়েছেন দিল্লি ঘনিষ্ট স্বপন দাশগুপ্তের নামও। আবার সুকান্ত ঘনিষ্ঠ জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।
পাশাপাশি, সংঘ ঘনিষ্ঠ এবং দিলীপ ঘোষের রাজ্যসভাপতি সময়কালে লাইম লাইটের আড়ালে থেকে কোনোরকম বিতর্ক ছাড়াই বাংলার গেরুয়া শিবিরের সংগঠন মজবুত করছে সেই সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নামও একদম উপরের সারিতে আছে বলেই বিজেপি সূত্রের খবর। এছাড়াও সুবক্তা, রাজ্যসভার সাংসদ, বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্যের নামও কিন্তু রয়েছে তালিকায়। কারণ হিসাবে বিজেপি সূত্রের খবর দলের অন্দরে তাঁর কোনো লবি বা দলাদলি নেই। সেই কারণেই দিল্লি বিজেপির নেতৃত্বের কাছে পছন্দের নাম হিসাবে বারবার উঠে এসেছে।
তবে এবার বিজেপির সভাপতি নির্বাচনের পুরো দায়িত্ব রাজ্য বিজেপির নেতাদের হাতে নেই। তাই চর্চা বেশি হচ্ছে। রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি সভাপতি নির্বাচনের দায়িত্ব রয়েছে রাজ্যের পর্যবক্ষেকদের হাতে। রাজ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির ভোট কুশলী সংস্থার রিপোর্টও কার্যকরী ভূমিকা নেবে। আর সেই কারণেই রাজ্য বিজেপির সভাপতি নির্বাচন নিয়ে চর্চা বেশি হচ্ছে। যদিও বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভবে এখনও কিছুই বলেনননি। তবে বিজেপির সভাপতি নির্বাচন এবার যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর, সুকান্ত মজুমদারকে রাজ্য সভাপতি পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তার পর থেকে অনেক সময় গড়িয়েছে, এবং সুকান্তের নেতৃত্বে বিজেপি রাজ্য রাজনীতিতে অনেক কিছু অর্জন করেছে। তবে এখন দলের অন্দরে এই বিষয়টি নিয়ে চর্চা চলছে। কেউ কেউ মনে করছেন, সুকান্ত মজুমদারকে আগামী বিধানসভা ভোট পর্যন্ত রাখা হতে পারে, কারণ দল নতুন করে কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না। তবে, দলীয় সংগঠন এবং বিভিন্ন জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণার পর যেসব ক্ষোভ দেখা দিয়েছে, তা আগামী ভোটের আগে যেন আরও বাড়িয়ে না দেওয়া হয়, এই চিন্তা থেকেই হয়তো বিজেপি নতুন কোনো ঝাঁকুনি দিতে চাইছে না।
সব মিলিয়ে, বিজেপির পরবর্তী রাজ্য সভাপতি নিয়ে অপেক্ষা বাড়ছে। দিলীপ ঘোষের কথায়, “সব সিদ্ধান্ত দিল্লি থেকেই নেওয়া হবে,” তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য সবাই দিল্লির দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন।
Be the first to comment