কোভিডে মৃতের পরিবারকে দেওয়ার টাকা নেই, সেন্ট্রাল ভিস্তায় ২০ হাজার কোটি খরচ করার ক্ষমতা রয়েছেঃ সুখেন্দু শেখর রায়

Spread the love

কোভিডে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার টাকা নেই কেন্দ্রের অথচ সেন্ট্রাল ভিস্তায় ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করার ক্ষমতা রয়েছে। সোমবার তৃণমূল ভবনে এভাবেই কেন্দ্রের সমালোচনায় সুর চড়ালেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। কেন্দ্রকে তুলোধনা করে এদিন তৃণমূল সাংসদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিদেশ থেকে বিলাসবহুল বিমান আনার পয়সা রয়েছে, অথচ অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর অর্থ কেন্দ্রের নেই।

সোমবার রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “কোভিডে যাঁরা মারা গিয়েছেন, সেই পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে পারবে না বলে সুপ্রিম কোর্টের কাছে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে। বলছে টাকা নেই। অথচ সেন্ট্রাল ভিস্তা তৈরি করার জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার কোনও অসুবিধা হচ্ছে না, সেখানে টাকা আছে। বিদেশ থেকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিলাসবহুল বিমান কিনে আনার জন্য টাকার অভাব হচ্ছে না, সেখানে টাকা আছে।”

সম্প্রতি দুই ব্যক্তি করোনায় মৃতদের পরিবারের জন্য কেন্দ্রের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানান। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রের তরফে ১৮৩ পাতার হলফনামা জমা দেওয়া হয়। তাতে জানানো হয়, দেশে এখনও অবধি সংক্রমণে ৩.৮৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আগামিদিনে তা আরও বাড়তে পারে। এই আর্থিক চাপের মাঝে কেন্দ্রের পক্ষে এত সংখ্যক মানুষকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া অসম্ভব। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ব্যখ্যা দিতে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, “ভূমিকম্প বা বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রেই আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। তবে যে হারে সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তাতে করোনায় মৃতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা সম্ভব নয়।”

সুখেন্দুশেখরের পর্যবেক্ষণ, “এই পার্লামেন্ট ভবন ভেঙে নতুন পার্লামেন্ট ভবন তৈরি বা না ভেঙেও নতুন ভবন তৈরির কোনও যৌক্তিকতা ছিল না। পুরনো ভবন সংস্কার করা যেতে পারত।” উদাহরণ হিসাবে তিনি বিদেশের সংসদ ভবনগুলির প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “ইউকেতে তিনবার ওদের পার্লামেন্টে আগুন লেগেছিল। ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তবু ওরা নতুন পার্লামেন্ট ভবন তৈরি করেনি। সেটাকেই সংস্কার করেছে। জাপানেও এমন ঘটনা ঘটেছে। আমেরিকার সেনেটেও তাই হয়েছে। অথচ আমাদের এখানে একটা অকারণে এবং যখন কোভিডের সময় মানুষের জন্য কোটি কোটি টাকা দরকার। সেখানে তাদের সাহায্য না করে এসব হচ্ছে। যারা কাজ হারিয়েছে তাদের হাতে কিছু টাকা পৌঁছে দেওয়া দরকার এখন। এই সময় বিলাসবহুল বিমান কিনে টাকা অপচয় করা, সেন্ট্রাল ভিস্তার নামে কোটি কোটি টাকা খরচ করার দরকার ছিল কি?”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*