হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে তুমুল হইচই। এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলে বিতর্ক বাড়ালেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তিনি বলেন, “৯৩ শতাংশ ধর্ষণই ঘটে পরিবারের অভ্যন্তরে।” তাঁর এই মন্তব্যের নিন্দায় সরব বিরোধীরা। গত সোমবার হাঁসখালিতে কিশোরীকে ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই কিশোরী সত্যিই ধর্ষিত হয়েছে নাকি সে অন্তঃসত্ত্বা ছিল, সে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে জোর আলোচনা।
বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পালটা ব্যাখ্যা দিতে যান সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তিনি বলেন, “এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে হলে শুধু প্রশাসনিক পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। সমাজের অবক্ষয় মেটাতে হবে। এখন যদি সেই জায়গাকে সবাই মিলে রক্ষা না করা হয়, তাহলে কিছুই হবে না। সিবিআই, পুলিশ কিছুই করতে পারবে না।” ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর রিপোর্ট উল্লেখ করে তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, “ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ৩৪ হাজার যৌন হেনস্তার ঘটনার ৯৩ শতাংশই পরিবারের মধ্যে ঘটছে। যাতে জড়িত আত্মীয় বা বন্ধু। এই বিষয়টি মাথায় রেখে সকলের সমালোচনা করা উচিত।”
হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় এদিন আরও একবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়েও সন্দেহপ্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “সিবিআই কি সর্বরোগহর? এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিরও আস্থা আছে? নইলে কেন তিনি সম্প্রতি সিবিআইকে নিরপেক্ষ থাকার পাঠ পড়ালেন? “
তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্য ঘিরে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। বিরোধীরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন তৃণমূল সাংসদ। এটা ধামাচাপা দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।” বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “কমপক্ষে উনি দুঃখপ্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী তো তাও করেননি। যে ঘটনাগুলি ঘটেছে তাতে পরিবার নেই। তাতে তৃণমূল পরিবার রয়েছে।”
Be the first to comment