ত্রিপুরা, গোয়া, উত্তরপ্রদেশের পর এবার হরিয়ানাকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার হরিয়ানার দায়িত্ব দেওয়া হলো রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে। এবার তার নেতৃত্বেই ধীরে ধীরে হরিয়ানায় পায়ের নিচের মাটি শক্ত করবে তৃণমূল।বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। তারপর থেকেই সর্বভারতীয় রাজনীতিতে নিজেদের মাটি শক্ত করতে ঝাঁপিয়েছে ঘাসফুল শিবির।
একের পর এক সর্বভারতীয়স্তরের নেতা, বিশিষ্ট ব্যক্তি তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা-সহ ১২ জন কংগ্রেস বিধায়ক যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। ফলে মেঘালয়ে বিরোধী আসনে উঠে এসেছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে হরিয়ানায় নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে তৃণমূলের স্টেট ইনচার্জ করা হল সুখেন্দুশেখর রায়কে। শীঘ্রই দায়িত্ব বুঝে নেবেন তিনি।
চলতি সপ্তাহেই দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই তিনি সাফ জানিয়েছিলেন এবার তাঁর লক্ষ্য হরিয়ানা। হরিয়ানায় সংগঠন তৈরি ও দলীয় প্রচারের দায়িত্ব অশোক তানওয়ারের কাঁধেই দিয়েছিলেন মমতা। বলেছিলেন, আমি ওকে বলেছি, এখন থেকেই কাজ শুরু করে দাও। আমাকে ডাকলে আমিও যাব। এবার ওই রাজ্যের তৃণমূলের ইনচার্জ হলেন সুখেন্দুশেখর রায়।
উল্লেখ্য, কৃষক আন্দোলনের জেরে হরিয়ানায় বিজেপির পায়ের মাটি কিছুটা হলেও নড়বড়ে। রাজনৈতিক মহল বলছে, বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করে সেই ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। এমন পরিস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরের সেই নড়বড়ে জমিতেই ঘাসফুল ফোটাতে চাইছে তৃণমূল। একইসঙ্গে গোটা দেশে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
Be the first to comment