রণক্ষেত্র সুলেখার মোড়, পুলিশের লাঠিচার্জ

Spread the love

একদিনে চারটি র‍্যালি। ইস্যু জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর মুখ ঢেকে এভিবিপির হামলা। সেই প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়েছে জেএনইউ থেকে যাদবপুর। দুপুর থেকে তিনটি র‍্যালি কোনও ঝামেলা ছাড়াই হলেও বিজেপির মিছিল ঘিরে পরিস্থিতি রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। বিজেপির তরফে উস্কানিমূলক মন্তব্যে পরিস্থিতি বিপরীত হতে থাকে।

এদিন রাজ্য বিজেপির নেতা অনুপম হাজরার নেতৃত্বে বাঘাযতীন থেকে যাদবপুর থানার উদ্দেশ্যে একটি মিছিল শুরু হলেও তা সুলেখার মোড়ে এসে আটকে যায়। অপরদিক থেকে এসএফআই এবং যাদবপুরের পড়ুয়াদের একটি দল মিছিল আটকানো হলে তৈরি হয় ত্রিমুখী লড়াই। যদিও পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি।

সময় বাড়তে থাকার সাথে সাথেই বিজেপির মিছিল এগিয়ে যেতে চাইলে তা তাঁদের বারবারই প্রতিহত করা হয়। দু’তরফ থেকে আসে বিরোধিতার স্লোগান। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানান বিজেপি নেতাকর্মীরা।

অপরদিকে জেএনইউ কাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন সন্ধ্যাতেই পথে নামে যাদবপুরের পড়ুয়ারা ও আলাদা একটি মিছিল করে সিপিএম। সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার দিকে তিনটি মিছিলই এসে মেশে যাদবপুরের সুলেখা মোড়ে।

পড়ুয়াদের ঘিরে ফেলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এদিকে বিজেপির মিছিল থেকে পড়ুয়াদের উদ্দেশে ‘পাকিস্তান-পাকিস্তান’ স্লোগান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তখনই বিজেপির মিছিলের দিকে তেড়ে যান পড়ুয়াদের একাংশ। সেসময় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধ্বস্তি বেধে যায় বলে অভিযোগ। পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগও উঠেছে। এক ছাত্রীর কথায়, ‘মমতার পুলিশ আমাদের মারছে।’

এরপরই পুলিশ মাইকিং করে বিজেপি কর্মীদের পাঁচ মিনিটের মধ্যে এলাকা থেকে চলে যেতে বলে। কিন্তু পাঁচ মিনিট কেটে গেলেও বিজেপি এলাকা ছাড়েনি। গোটা এলাকায় যানজট হয়ে রয়েছে। নাকাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে যায় অনেকেই। তবে বিজেপির মিছিল থেকে এক সমর্থক এসএফআইয়ের এক ছাত্রকে গায়ে হাত তুললে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*