রূপচর্চা বিশেষজ্ঞ শর্মিলা সিং ফ্লোরা –
গরমকালের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য যেমন আছে তেমন গরমের সমস্যাগুলোও একটু আলাদা। গরমকালে কমনকিছু প্রবলেম হলো ঘামাচি, হিট র্যাশ, অতিরিক্ত ঘাম, বডি অর্ডার, মাথায় ইনফেকশন এইসব।
ডেলি লাইফে এগুলোকে সাথে করেই আমাদের ঘুরতে হয় কাজ করতে হয় এমনকি এগুলোকে ক্যারিও করতে হয়। কয়েকটা ছোট টিপস মেনে চললে এগুলো থেকে খুব সহজে বেড়িয়ে আসা যায়।
প্রথমেই বলি, গরমে সবচেয়ে আগে যেটা দরকার নিজেদের পরিস্কার রাখা। শরীরের প্রত্যেকটি পার্টকে খুব ক্লিন রাখতে হবে যাতে কোনো রকম ইনফেকশন দানা বাঁধতে না পারে। সারা দিনে ২ থেকে ৩ বার স্নান করা খুব জরুরী। তখন ফ্লোরার বডি ওয়াশ/স্ক্রাব এর সাহায্যে স্নান করা যেতে পারে। শ্যাম্পু প্রতিদিন করতে হবে যাতে স্কাল্পও পরিস্কার থাকে। স্নানের পর ফুল বডিতে টোনার অ্যাপ্লাই করা খুব দরকার যাতে পোর্স গুলো বন্ধ হয়ে যায় আর ঘামটা তুলনামুলক কম হয়।
যারা খুব ঘামে তারা ফ্লোরাস স্প্ল্যাশ অ্যান্টি সেপটিক লোশন টা যদি দিনে ২-৩ বার করে অ্যাপ্লাই করে/স্নানের জলে দিয়ে অ্যাপ্লাই করে তাহলে ঘামাচি, র্যাশ, বডি অর্ডার অনেকটা কমে যায়।
ফ্লোরার স্কিন ক্লিয়ারটা দিনে একবার করে যদি লাগানো যায় এফেকটেড এরিয়াতে তাহলে সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যাবে র্যাশ ঘামাচি যেকোনো ইনফেকশনে। এতো গেলো বাইরে থেকে কিভাবে নিজেকে ঠিক রাখবেন কিন্তু ভিতর থেকে ততটাই জরুরী নিজেকে ঠিক রাখা। প্রচুর লিক্যুইড ইনটেক করতে হবে সাথে এমন কিছু খেতে হবে যা বডি টেমপেরাচার কুল থাকে। যেটা কম সোয়েটিং হতে সাহায্য করে।
লিভার ফাংশানটাকে ঠিক রাখা খুব জরুরী কারণ বডি অর্ডার হয় যাদের লিভার ফাংশন খারাপ। সেক্ষেত্রে সকালে ঘুম থেকে উঠে অ্যালোভেরা জ্যুশ / লাউ এর জ্যুশ খেলে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়।
Be the first to comment