কথা ছিল করোবা চৌথের পরই দিল্লি ফিরবেন। সেই মতোই প্যাকিংও সেরে ফেলেন। সোমবার সকালে সব শেষ। সমুদ্রে ভেঙে পড়া বিমানের পাইলট যে তাঁরই স্বামী, জানতে পারেন গরিমা শেঠী।
বন্ধুদের ৫ নভেম্বর দেখা করার কথা বলেছিলেন পাইলট ভাবিয়ে সুনেজা।দিল্লিতে গিয়েই হোমকামিং পার্টির তোরজোর করবেন বলে জানান। করোবা চৌথের ছবিও ফেসবুকে পোস্ট করেন সুনেজার স্ত্রী গরিমা শেঠি। সেই ছবি দেখতে দেখতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন সুনেজার দিল্লির বন্ধুরা।জানালেন, তাদের ৩১ বছরের প্রানবন্ত বন্ধুটি বরাবরই গাড়ি চালাতে ভালোবাসতেন।কাউকেই চালকের আসনে বসতে দিতেন না।
স্ত্রী গরিমা শেঠির সঙ্গে ২০১৬ সালে বিয়ে হয় তাঁর। ইন্দোনেশিয়াতেই স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। বিভিন্ন দেশ ঘোরা ছিল সুনেজার অন্যতম নেশা। হাসিখুশি সেই ছেলেই আর কোনওদিনই দেশে ফিরবেন না। সুনেজার উদ্ধার হওয়া দেহাংশ, ব্যাগ, ঘড়ি কফিনবন্দি করেই দেশের পথে স্ত্রী গরিমা।
Be the first to comment