কয়েক বছর চিনের কাছে পিছিয়ে থাকার পর আবার স্বমহিমায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সৌজন্য নতুন সুপার কম্পিউটার ‘সামিট’। সম্প্রতি সেদেশের ডিপার্টমেন্ট অফ এনার্জি ‘সামিট’ সুপার কম্পিউটারটি উন্মোচন করে। প্রসিদ্ধ কম্পিউটার নির্মাণকারী সংস্থা আইবিএম এবং চিপ নির্মাণকারী সংস্থা এনভিডিয়া যৌথভাবে এটি তৈরি করেছে। আইবিএমের প্রধান কার্যনির্বাহী জিনি রমেটি বলেন, এটি আসলেই আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জনগুলোর একটি। এখন পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ও দ্রুততম সুপার কম্পিউটার হল ‘সামিট’। ‘সামিট’ সেকেন্ডে সর্বোচ্চ দুই লাখ ট্রিলিয়ন হিসাব করার ক্ষমতা রাখে।
এর আগে আমেরিকার সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার ছিল ‘টাইটান’। নতুনটি এর চেয়েও আটগুণ বেশি শক্তিশালী। তৈরি করতে প্রায় চার বছর লেগেছে। এতদিন পর্যন্ত চিনের সানওয়ে তাইহুলাইট ও তিহানে-২ বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির সুপার কম্পিউটার হিসেবে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছিল। তাইহুলাইট সেকন্ডে প্রায় ৯৩ হাজার ক্যালকুলেশন করতে পারে। সামিটের ক্ষমতা এর প্রায় দ্বিগুণ। সাধারণ কম্পিউটর যে কাজ করতে ৩০ বছর সময় নেয়, সেখানে সামিটের লাগে মাত্র একদিন। এর সিপিইউয়ের আকারই প্রায় দুটি টেনিস কোর্টের সমান। মেশিন ঠান্ডা রাখতে প্রতিমিনিটে ৪ হাজার গ্যালন জল সরবরাহ করতে হয়। গড়ে ৮,১০০ ঘরে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ লাগে এটি চালাতেও ততটা বিদ্যুতের প্রয়োজন।
তবে সামিটের সবচেয়ে বেশি আলোচিত দিক হল ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’র ব্যবহার। ক্যান্সার, এইডসের মতো রোগ নিয়ে গবেষণাতেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
Be the first to comment