ফের চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে, কাজে ফেরার আহ্বান অভিষেকের, মনে করালেন সিবিআইয়ের ‘রেকর্ড’এর কথাও

Spread the love

রোজদিন ডেক্সঃ বুধবার আরও একবার জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি তাঁদের কাজে ফেরার আহ্বান জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

যখন নিরাপত্তা-সুরক্ষার প্রশ্নে বুধবার নতুন করে রাজ্যকে ইমেল পাঠিয়েছেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা, ঠিক তখনই, শাসক দলের সেনাপতি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোষ্ট করে লেখেন, “রাজ্য সরকার সব দাবিপূরণ করেছে। এবার কাজে ফিরুন।” প্রথম দিন থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন তিনি। তাঁদের সমস্ত দাবি যুক্তিপূর্ণ বলেও মনে করেছেন অভিষেক। কিন্তু এবার আমজনতার কথা ভেবে কাজে যোগ দিন ডাক্তাররা। পাশাপাশি, রাজ্যও যে প্রতিটি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা-সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একাধিক কাজ শুরু করেছে তাও উল্লেখ করেছেন অভিষেক। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের রেকর্ডের কথাও মনে করিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক। অভিষেকের কথায়, “গত ১০ বছরে সিবিআইয়ের রেকর্ডই বলছে, তাঁরা একটিও তদন্তর নিষ্পত্তি করতে পারেনি।’

নিজেদের একাধিক দাবিদাওয়া সামনে রেখে নতুন করে রাজ্যের সঙ্গে দর কষাকষিতে নেমে পড়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মঙ্গলবার মধ্যরাতের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, রোগী ও চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা-সহ একাধিক দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি তুলেছেন তাঁরা।

আন্দোলনরত চিকিৎসকদের এই দাবির সঙ্গে সহমত জানিয়ে টুইটে অভিষেক লিখেছেন, ‘প্রথম দিন থেকেই আমি সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার বিষয়ে ডাক্তারদের উদ্বেগকে সমর্থন করেছি। রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন-সহ সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টেও রাজ্য নিজেদের রুপরেখার কথা জানিয়েছে। আশা করা হচ্ছে ১৪ দিনের মধ্যে সেগুলি রূপায়ণ হবে। এমনকী  সরকার স্বাস্থ্য দফতর এবং কলকাতা পুলিশের কিছু উচ্চপদস্থ আধিকারিককে বদলিও করেছে।’

এরপরই আন্দোলনকারীদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের সদিচ্ছা দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন অভিষেক। দ্রুত টাস্ক ফোর্স গঠনের সপক্ষেও সওয়াল করেছেন। এরই পাশাপাশি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘গত ১০ বছরে সিবিআই একটি মামলারও নিষ্পত্তি করতে পারেনি। যার অর্থ ন্যায় বিচার দিতে দেরি করা মানে তা অস্বীকার করা।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*