বিয়ের মন্ত্রোচ্চারণ বা বিয়ের রেজিস্ট্রি পেপারে সই করে দেওয়ার মানেই এটা নয় যে, যৌনতার জন্য বিবাহিতা স্ত্রীকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে ৷ অর্থাৎ বিয়ে হয়ে গিয়েছে বলেই স্বামী যৌনমিলনের ইচ্ছায় সবসময় সম্মত হতে হবে স্ত্রীকে তার কোনও মানে নেই ৷ বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে দায়ের হওয়া একটি মামলায় মঙ্গলবার এমনটাই পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের ৷ তারই মাঝে ওরাল সেক্স করতে বাধ্য করে স্বামী বলে অভিযোগ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ এক মহিলা ৷ চার বছরের বিবাহিত জীবনেই স্বামী এই কাজ করতে বাধ্য করছে বলে অভিযোগ জানিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি ৷
মহিলা জানিয়েছেন ২০১৪ সালে পেশায় ডাক্তার ওই ব্যক্তির সঙ্গে তার বিয়ে হয় ৷ বিয়ের পর থেকেই ওরাল সেক্স করার জন্য তাকে বাধ্য করত স্বামী ৷ তিনি বাধা দিলেও সেটা বুঝতে পারতেন না তার স্বামী ৷ এছাড়াও তাদের যৌন সঙ্গমের দৃশ্য ভিডিও রের্কড করে রাখতেন তার স্বামী ৷ ভিডিও দেখিয়ে ভয় দেখিয়ে তাকে ওরাল সেক্স করতে বাধ্য করা হত ৷ না মানলে তার উপর শারীরিক অত্যাচারও করা হত বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ৷
মহিলার আইনজীবী পিটিশনে দাবি করেছে যে ওরাল সেক্স প্রকৃতির নিয়মের বাইরে গিয়ে যৌনসম্পর্ক স্থাপন ৷ এরপর এনভি রামানা ও এমএএম শান্তানাগৌদরের বেঞ্চ মহিলার স্বামীকে নোটিশ পাঠিয়েছে ৷
Be the first to comment