দেশের শীর্ষ আদালত সময় বেঁধে দিয়েছিল দশ দিন। সেই সময়সীমা পেরিয়েও গিয়েছে গত শনিবার। অবশেষে সোমবার রাফায়েল চুক্তি সংক্রান্ত তথ্য সুপ্রিম কোর্টে জমা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। গত ৩১ অক্টোবর দেশের শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় সরকারকে দশ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার কথা বলেছিল। বারো দিনের মাথায় সোমবার মুখবন্ধ খামে জমা পড়ল রিপোর্ট।
কেন্দ্রীয় সরকার ফরাসি কোম্পানি দাসোর সঙ্গে চুক্তি করেছে ৩৬টি যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারে। আর এই চুক্তিতে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল। প্রসঙ্গত, এই যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছিল দ্বিতীয় মনমোহন সিং সরকারের সময়। ২০১৬ সালে নরেন্দ্র মোদীর সরকার বিষয়টিকে চূড়ান্ত রূপ দেয়।
কংগ্রেস অভিযোগ করে, ইউপিএ সরকারের সময়ে যে দামে যুদ্ধবিমান কেনার কথা হয়েছিল তার থেকে অনেক বেশি দামে কেনা হচ্ছে। নাম জড়ায় আম্বানিদের। হিন্দুস্তান অ্যারোনেটিক্যালস লিমিটেড (হ্যাল)-এর মতো সরকারি সংস্থাকে বরাত না দিয়ে ফ্রান্সের কোম্পানিটি সামরিক ক্ষেত্রে অনভিজ্ঞ রিলায়েন্সকে কেন বরাত দিল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী সরাসরি এই দুর্নীতিতে প্রধানমন্ত্রীর জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। তাঁর দাবি, রাফায়েল চুক্তি করে মোদী তাঁর বন্ধু আম্বানিকে উপহার দিয়েছেন ।
রাফায়েলে কী চুক্তি হয়েছে? আসল দাম কত? আম্বানিদের সংস্থাকে বরাত দেওয়া কি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নাকি স্বাধীনভাবেই বরাত পেয়েছে তারা? এই রকম প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে একাধিক আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের নিরাপত্তার যুক্তিতে সেই উত্তর না দেওয়ায় আদালত স্পষ্ট বলে, কেন্দ্রের উচিত হলফনামা দিয়ে বিষয়টি জানানো। আগামী বুধবার এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।
Be the first to comment