বিল পাশ হয়ে গেছে সংসদের উভয় কক্ষতেই ৷ রাষ্ট্রপতির সইয়ের পর তা আইনে রূপ নিয়েছে ৷ এবার সেই তাৎক্ষণিক তিন তালাক আইন পরীক্ষা করতে চায় সুপ্রিম কোর্ট ৷ বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকে নোটিশও পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷ এবার আইনটির সাংবিধানিক বৈধতা যাচাই করতে চায় তারা ৷
উল্লেখ্য, গত মাসেই তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিল পাশ হয়েছিল রাজ্যসভায় ৷ বিলটি পাশ হয়ে গেলে টুইটারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লেখেন, এত দিনে তিন তালাকের মতো একটি প্রাচীন এবং মধ্যযুগীয় প্রথাকে আবর্জনার স্তূপে ছুড়ে ফেলে দেওয়া গেল। মুসলিম মহিলাদের প্রতি এতদিন ধরে চলে আসা একটি ঐতিহাসিক ভুল শোধরানো সম্ভব হল সংসদে। এটা লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে জয়। এর ফলে সমাজে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার পথ আরও প্রশস্ত হল। আজ ভারতের খুশির দিন ৷
কিন্তু, বিল তথা আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যখন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে টুইট করছেন, তখনই আইনটির সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিটিশন দায়ের করা হয় ৷ জামিয়াত-উলেমা-ই-হিন্দের পক্ষ থেকে প্রথম পিটিশন দায়ের করা হয় ৷ বিল তথা আইনটিতে মুসলিম পুরুষদের তিন বছরের জেলের যে নিদান দেওয়া হয়েছিল, অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধেই ৷ তিন বছরের জেলের বিষয়টিকে ‘অপ্রয়োজনীয় এবং অতিরিক্ত’ দাবি করা হয়েছিল ৷ আবার এর একটি পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল, দাঙ্গা বাধানোর অভিযোগে দুই বছর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেলের নিদান রয়েছে ৷ সেখানে তিন তালাকের ক্ষেত্রে তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজা অতিরিক্ত বলেই দাবি করা হয় ৷ অন্যদিকে আবার বিলটি নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল কংগ্রেস-তৃণমূল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৷ তাদেরও আপত্তির অন্যতম প্রধান কারণ ছিল তিন বছরের জেলের নিদান ৷ বিষয়টি নিয়ে এ বার সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে চলেছে শীর্ষ আদালত ৷
Be the first to comment