জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সাংবিধানিক বৈধতা পূনর্মূল্যায়ন করতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট। অক্টোবর থেকে এনিয়ে শুনানি শুরু হবে। বুধবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন এক বেঞ্চ এই কথা জানায়। এবিষয়ে সরকারের মত জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠাবে বলে জানায় শীর্ষ আদালত। আজ ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার সহ কাশ্মীরে চলতে থাকা গতিবিধি সংক্রান্ত বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলির যৌথ শুনানি চলাকালীন একথা জানায় শীর্ষ আদালত।
৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী এম এল শর্মা, ন্যাশনাল কনফারেন্স সাংসদ মহম্মদ আকবর লোন ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারক হসনেইন মাসুদি। তাঁদের যুক্তি ছিল সরকারের এই পদক্ষেপ অসাংবিধানিক। একই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন IAS অফিসার শাহ ফৈজল ও JNU-এর ছাত্রনেতা সইলা রশিদ। সবগুলি আবেদনের যৌথ শুনানির সিদ্ধান্ত নেয় শীর্ষ আদালত। সেই শুনানি চলাকালীন আজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে পাঠানো হবে।
যদিও সরকারকের পক্ষে এই নোটিশ পাঠানোর বিরোধিতা করা হয়। সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, এই নোটিশ পাঠানোর জেরে সীমান্তে অস্থিরতা বাড়তে পারে। সরকার এই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘকে যা বলেছে আদালতকেও তাই জানাচ্ছে। তবে এই যুক্তি খণ্ডন করে আদালত। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি এস এ বোবদে এবং এস এ নাজির বলেন, আমরা জানি কী করতে হবে। আমরা ইতিমধ্যেই একটি নির্দেশ দিয়েছি। আমরা তা বদল করব না।
Be the first to comment