১৫ দিনের মধ্যে ইচ্ছুক সব পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে হবে ৷ এ দিন কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলিকে এই নির্দেশই দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ শুধু বাড়ি ফেরার ব্যবস্থাই নয়, নিজের রাজ্যে ফেরার পর তাঁদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও সেই রাজ্যকেই করতে হবে ৷ পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থান এবং অন্যান্য ত্রাণ দিতে রাজ্য সরকারগুলি কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তাও জানানোর নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷
লকডাউনের মধ্যে পড়ে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা দেখে স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই পদক্ষেপ করেছিল শীর্ষ আদালত৷ এর আগে একাধিক কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে বেশ কিছু নির্দেশও দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ এ দিন নতুন নির্দেশ দিতে গিয়ে শীর্ষ আদালত জানায়, পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করার জন্য ১৫ দিন যথেষ্ট সময়৷ শুধু বাড়ি ফেরানোই নয়, পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা এবং তাঁদের অন্যান্য সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থাও রাজ্য সরকারগুলিকেই করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করার জন্যও রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷
এ দিন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আদালতে জানানো হয়, ৪২০০ ট্রেনে ১ কোটিরও বেশি শ্রমিকদের ইতিমধ্যে বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে৷কেন্দ্রের তরফে এ দিন আরও দাবি করা হয়েছে, বাড়ি ফেরার সময় ট্রেনে খাবার বা জলের অভাবে কোনও পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়নি৷ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বা কো- মর্বিডিটির কারণেই কিছু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ৷
বিহার সরকারের তরফেও এ দিন আদালতে জানানো হয়, রাজ্যে প্রায় ২৮ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন৷ তাঁদের কর্মসংস্থানের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা রাজ্য করছে বলেও জানিয়েছে বিহার সরকার৷ পাশাপাশি কতজন পরিযায়ী বাড়ি ফিরতে চান, সেই তালিকা তৈরির জন্য রাজস্থান সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷
এর আগে একটি অন্তবর্তী নির্দেশিকায় সুপ্রিম কোর্ট পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার, থাকার জায়গা, যাতায়াত এবং দেখভালের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে সাত দফা নির্দেশ দিয়েছিল৷ পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে যাতায়াতের ভাড়াও আদায় করাও আদায় করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত৷ কোনও রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরত নিতে অস্বীকার করতে পারবে না বলেও জানিয়েছিল আদালত ৷
Be the first to comment