কী হয় কী হয় কৌতুহলের মধ্যেই গত ৩০ অক্টোবর দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, অযোধ্যা মামলার শুনানি কবে থেকে হবে তা ঠিক হবে জানুয়ারিতে। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি সে দিন থেকেই এই রায়ে সন্তুষ্ট নয়। তাই আরও একবার কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, ‘যা রায় হয়েছে সেটাই বহাল থাকবে।’
জানুয়ারি নয়। আরও আগে অযোধ্যা মামলার শুনানি হোক এই আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল হিন্দু মহাসভা। সোমবার দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ তাদের সেই আবেদন খারিজ করে দেন।
গত ৩০ অক্টোবর দেশের সব রাজনৈতিক দলের চোখ ছিল সুপ্রিম কোর্টের দিকে। সেদিনই প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছিলেন। ‘জানুয়ারিতে নতুন বেঞ্চ গঠন হবে। সেই বেঞ্চ এই শুনানির দিনক্ষণ স্থির করবে।’ উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা আবেদন করেছিলেন, “এই মামলা শতাব্দী প্রাচীন। এর সঙ্গে দেশের মানুষের ভাবাবেগ জড়িয়ে আছে। তাই আদালত জানুয়ারির বদলে নভেম্বরে এগিয়ে আনুক শুনানি।” কিন্তু সেই আবেদন কার্যত উড়িয়ে দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। বলেছিলেন, “সব মামলাই আদালতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”
রাজনৈতিক মহলের মতে, এই মামলা পিছিয়ে যাওয়ায় খানিকটা ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। আইনজ্ঞদের মতে, জানুয়ারি থেকে রোজ শুনানি হলেও লোকসভার আগে এই মামলার নিষ্পত্তি হওয়া কার্যত অসম্ভব।
২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল, অয্যোধ্যার বিতর্কিত জমিকে তিন ভাগে ভাগ করার। একভাগ রামলালা, একভাগ নির্মোহী আখড়া ও একভাগ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে ভাগ করে দিতে হবে । তার পরেই সুপ্রিম কোর্টে একাধিক সংগঠন ওই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানায়। এ দিনের আবেদন খারিজের পর ২০১৯ সালের জানুয়ারির আগে আর কোনও সম্ভাবনাই নেই অযোধ্যা মামলার শুনানির।
Be the first to comment