দেশজুড়ে কার্যকর করা হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। গত ১১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেদিন থেকেই এই আইন কার্যকর করার কথা ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। যদিও কংগ্রেস, তৃণমূল, বামফ্রণ্ট-সহ বিরোধীরা এই আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলার আবেদনও জমা পড়েছে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই আজ, মঙ্গলবার থেকে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শুরু হবে। মূলত, সিএএ-এর উপর স্থগিতাদেশের আবেদনের শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে।
গত সপ্তাহেই প্রবীণ রাজনীতিক তথা আইনজীবী কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে সিএএ-র সদ্য লাগু হওয়া বিধির উপর স্থগিতাদেশের আবেদন করেন। তিনি দাবি করেন, একবার নাগরিকত্ব প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে আর সেটা প্রত্যাহার করা সম্ভব হবে না। তাই অবিলম্বে এই আইনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হোক।
কপিল সিব্বল ছাড়াও IUML-সহ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র, AIMIM প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েইসি, অসমের কংগ্রেস নেতা দেবব্রত সাইকিয়া এবং একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিএএর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। ২০০র বেশি পিটিশন জমা পড়েছে। পিটিশনে CAA-কে বিভেদকারী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক আইন হিসেবে অভিযোগ করা হয়েছে।
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ খণ্ডন করে কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপির দাবি, এটা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের আইন। গোটা বিষয়টি নিয়েই এবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা হতে চলেছে। এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পরদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রার এজলাসে শুনানি হবে।
Be the first to comment