দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছিল রাজধানীতে ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন জোগান দিতে। তা পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ অবমাননার নোটিস পাঠিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রেক্ষিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার অক্সিজেনের জোগান দেওয়ার জন্য যথেষ্টা চেষ্টা করছে।
পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এই হাইকোর্টের নোটিস স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্চ। তবে কেন্দ্রকে অক্সিজেন সরবরাহে ‘মুম্বই মডেলের’ বিষয়ে মুম্বই মিউনিসিপ্যালিটির কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সর্বোচ্চ আদালতে প্রধান বিচারপতি এনভি রমন বিষয়টি তুলে দেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি এমআর শাহর বেঞ্চের হাতে। সেখানে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, দিল্লিতে ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন প্রয়োজন। যেহেতু হাইকোর্ট এই নির্দেশিকা দিয়েছে, তাই দিল্লিবাসীর কাছে জবাব দিতে বাধ্য তারা। পাশাপাশি কেন্দ্রের কাছে সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায়, কীভাবে দ্রুত ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া সম্ভব?
যদিও কেন্দ্রের দাবি, দিল্লিকে ৫০০ টন অক্সিজেন দিলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে কেন্দ্রের উল্টো সুরে গিয়ে জানায়, ৭০০ টনের নির্দেশ রয়েছে ৭০০ টনই দিতে হবে। ৫৫০ টনে সমস্যার সমাধান হবে না। বিকেল ৫টার মধ্যে কেন্দ্রকে অক্সিজেনের উৎস জানানোরও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্র অক্সিজেনের সরবরাহ সম্পর্কে জানানোর পর দেশের সর্বোচ্চ আদালত সাফ জানিয়েছে, রাতের মধ্যে ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেনের জোগান নিশ্চিত করতে হবে। ৫০০ বা ৫৪৫ মেট্রিক টন হলে সমস্যার সমাধান হবে না।
এরপর কেন্দ্র জানায়, ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে তারা। সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সময় দিয়েছে পরিকল্পনা পেশ করার জন্য। সর্বোচ্চ আদালত এ-ও জানিয়েছে, খুব সংক্ষিপ্ত আকারে হলফনামা জমা দিতে হবে। উল্লেখ্য, দিল্লিতে অক্সিজেন সঙ্কট নিয়ে একাধিকবার শুনানি হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। সেখানে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারকেই চরম ভর্ৎসনা করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। অক্সিজেন সরবরাহে কোনও আধিকারিক বাধা দিলে তাঁকে জেলে ঢোকান হবে, এমনও ‘বেনজির’ পর্যবেক্ষণ দিয়েছে হাইকোর্ট।
Be the first to comment