ভারতে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য এককভাবে দায়ী নির্বাচন কমিশন। আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও করা যায়। দিনকয়েক আগেই এক মামলার শুনানি চলাকালীন এমনই বিস্ফোরক পর্যবেক্ষণ করেছিলেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পর্যবেক্ষণের বিরোধিতা করে এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। মাদ্রাজ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণকে ‘চরম অপমানজনক মন্তব্য’ বলে দাবি করে পালটা মামলা দায়ের করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
যে সময় মাদ্রাজ হাইকোর্ট এই পর্যবেক্ষণ করেছিল, তখন পশ্চিবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের সপ্তম দফার ভোট চলছিল। গত ২৬ এপ্রিল তামিলনাড়ুর কোভিড সংক্রমণ নিয়ে একটি মামলা শুনানি চলাকালীন এই মন্তব্য করতে শোনা যায় প্রধান বিচারপতিকে।যদিও তামিলনাড়ুতে এক দফায় বিধানসভা ভোট শেষ করা হয়। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পরও কেন কমিনশ প্রচার বা জমায়েতে রাশ টানল না, সেই প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশনকে রীতিমতো তুলোধোনা করেছিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
এমনকি, সংক্রমণ রুখতে কমিশন কী পদক্ষেপ করছে তা স্পষ্ট না করা হলে ভোটগণনা বন্ধ করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল আদালতের পক্ষ থেকে। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এহেন মন্তব্য ‘চরমভাবে অবমাননাকর এবং অসম্মানজনক’ বলে দাবি করা হয়েছে কমিশনের দায়ের করা পিটিশনে। “একটি স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও আদালত আরেকটি স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীনভাবে যে ধরনের খুনের গুরুতর অভিযোগ তুলেছে, তা উভয় প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে”, সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা পিটিশনে কমিশন এমনটাই দাবি করেছে কমিশন।
এ দিন করোনা নিয়ে একটি মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে। আদালত বলে, বিচারপতিদের চিন্তাভাবনা করেই মতামত দেওয়া উচিত। আমরা যখন হাইকোর্টের কোনও সিদ্ধান্তের সমালোচনা করি, তখন আমাদের মনে কী রয়েছে সেটা কিন্তু বলি না। আবেগকে সংযত করি।
Be the first to comment