৩৭০ ধারা জম্মু ও কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহারের পর সেখানে জারি করা একাধিক বিধিনিষেধ ইতিমধ্যে শিথিল করা হয়েছে ৷ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে একথা জানানো হয় ৷ কেন্দ্রের দাবি সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ৷ পাশাপাশি দাবি করা হয় কাশ্মীরে জনজীবন পুরোপুরি স্তব্ধ বলে আদালতে যে আবেদনগুলি জমা পড়েছে তা ভিত্তিহীন ও অপ্রাসঙ্গিক ৷
জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর সেখানে সরকারি বিধিনিষেধে জনজীবন স্তব্ধ বলে শীর্ষ আদালতে একাধিক মামলা হয়েছে। মামলাগুলির শুনানি চলছে বিচারপতি এন ভি রামানার নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চে। বৃহস্পতিবার বেঞ্চের কাছে প্রামাণ্য নথি জমা দেন সলিসিটর জেনেরাল তুষার মেহতা ৷ ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর কেন কাশ্মীরে এখনও কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে, তার কারণগুলি ব্যাখ্যা করেন তিনি ৷ শীর্ষ আদালতকে সলিসিটর জেনেরাল জানান, ইতিমধ্যেই শিথিল হয়েছে বিধিনিষেধ ৷ কখনওই পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যায়নি কাশ্মীরের জনজীবন ৷ স্কুল খোলা হয়েছে ৷ ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পরও ৯৭০-এর বেশি স্কুল কখনও বন্ধ হয়নি ৷
৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর কাশ্মীরে সরকারি বিনিনিষেধে জনজীবন স্তব্ধ, এই অভিযোগ তুলে একাধিক আবেদন জমা পড়েছিল শীর্ষ আদালতে ৷ আবেদন করেছিলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজ়াদ সহ অনেকে ৷ অভিযোগ, কাশ্মীরের মানুষদের কার্যত গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে ৷ তাঁদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। ১৬ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর অধীনে নেতৃত্বে বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই বিষয়ে জম্মু-কাশ্মীর সরকার ও কেন্দ্রকে হলফনামা জমা দিতে বলেছিল ৷ ১৬ অক্টোবর তাদের পদক্ষেপের পক্ষে হলফনামা জমা দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্র ও জম্মু-কাশ্মীর সরকারের ৷ কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও আদালতের নির্দেশ মানেনি কেন্দ্র ৷
শুনানি শুরু হলেও হলফনামা জমা করেনি ৷ তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ কেন্দ্রের সব পদক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না ৷ আদালতকে এত সহজভাবে নেওয়ার কারণ নেই বলে কেন্দ্রকে সাফ জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত ৷ তারপর আজ কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনেরাল শীর্ষ আদালতে সরকারি বিধিনিষেধের কারণ ও কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন। বুধবার রাজ্যসভায় অমিত শাহ বলেন, কাশ্মীরের পরিস্থিতির আগের থেকে উন্নতি হয়েছে। কিছু জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Be the first to comment