সুপ্রিম কোর্ট স্বীকৃতি দিলো সমকামিতা আইনকে, তবে এর পিছনে কাদের অবদান সবচেয়ে বেশী জানেন!

Spread the love
২০০৯ সালে দিল্লি হাইকোর্ট রায় দেয়, সমকামিতাকে অপরাধ বলে গণ্য করা যায় না।  কিন্তু চার বছরের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট উল্টে দিয়েছিল সেই রায়।  শীর্ষ আদালতের যুক্তি, বিচারপতিরা কোনও আইন বদলে দিতে পারেন না। সেই কাজটি করতে পারে আইনসভা। অর্থাৎ পার্লামেন্টের দুই কক্ষের সম্মতিতে বাতিল হতে পারে সেকশন ৩৭৭।  যাতে বলা হয়েছে, সমকামিতা প্রকৃতিবিরুদ্ধ।  তার শাস্তি ১০ বছরের জেল।
সুপ্রিম কোর্ট ওই রায় দেওয়ার তিন বছর বাদে ফের আর্জি জানান এলজিবিটি কমিউনিটির পাঁচ সদস্য। তাঁদের একজন হলেন নবতেজ সিং জোহার।  বয়স ৫৯। ধ্রুপদী নৃত্যকলায় বিশেষ পারদর্শী। সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমির পুরস্কার পেয়েছেন।
আর একজনের নাম সুনীল মেহতা।  বয়স ৬৩। পেশায় সাংবাদিক। ম্যাক্সিম পত্রিকার ভারতীয় সংস্করণের সম্পাদক ছিলেন। দূরদর্শনের অনুষ্ঠানও পরিচালনা করেছেন।
৪৫ বছরের রিতু ডালমিয়া ছিলেন আরও এক আবেদনকারী। তিনি নামকরা শেফ। জন্ম কলকাতায়। টিভিতে ফুড শো পরিচালনা করেছেন।
আর এক আবেদনকারীর নাম আমন নাথ। বয়স ৬১। নিমরানা চেন অব হোটেলের মালিক।  ইতিহাস ও স্থাপত্য নিয়ে বই লিখেছেন। কবিতাও লেখেন।
আবেদনকারীদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ হলেন আয়েশ কাপুর।  বয়স ২৩। অত্যন্ত ক্ষমতাশালী অভিনেত্রী। মাত্র নবছর বয়সে অমিতাভ-রানি মুখোপাধ্যায়ের ব্ল্যাক ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।
তাঁদের সমবেত চেষ্টার ফলেই সমকামিতা আইনি স্বীকৃতি পেল।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*