সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় ধাক্কার মুখে ত্রিপুরা সরকার। ভোটের আগে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিরাপদে প্রচার করতে দিতে হবে। যথাযথ নিরাপত্তা দিতে হবে প্রার্থীদের। নির্বাচনও যাতে অবাধ, সুষ্ঠুভাবে হয়, সেই দায়িত্বও বিপ্লব দেব সরকারেরই। ত্রিপুরায় রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে তৃণমূলের দায়ের করা একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এমনই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি ত্রিপুরার স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্যে পুলিশের ডিজিকে শীর্ষ আদালতের এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ যথাযথভাবে পালন হচ্ছে কি না, তা নজরদারির পর সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
সম্প্রতি ত্রিপুরায় রাজনৈতিক মাটি শক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল। প্রায়শয়ই সেখানে ঘাসফুল শিবিরের একাধিক কর্মসূচি চলছে। তবে অভিযোগ, তৃণমূলের সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচিতেই বাধা দিচ্ছে শাসকদল বিজেপি। তাই পথে নেমে বারবারই আক্রান্ত হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতা, কর্মীরা। চলতি পুরভোটের আগে ত্রিপুরায় ক্রমশ বাড়ছে হিংসা। বুধবার রাতে ফের তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকেই আগরতলায় ত্রিপুরা পুলিশের সদর দপ্তরের সামনে ধরনায় বসেন ত্রিপুরা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাতে সামিল উপস্থিত সুস্মিতা দেব, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সুবল ভৌমিকরা।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিপ্লব দেব সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। রিট পিটিশন দাখিল করে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেব অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রচারে নেমে তৃণমূলের নেতা, কর্মী, সদস্যরা হিংসার শিকার হচ্ছেন। তৃণমূলের কার্যালয়, গাড়ি, ভাঙচুরের মতো হিংসার ঘটনা নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মামলায় সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনেরও আরজিও জানান সুস্মিতা দেব।
তাঁর দায়ের করা মামলার ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়ে জানায়, ত্রিপুরায় ভোটের প্রক্রিয়া যখন শুরু হয়ে গিয়েছে, তখন সমস্ত রাজনৈতিক দলেরই প্রচার চালানোর অধিকার রয়েছে। সুস্মিতা দেব-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রচারকদের নিরাপত্তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। পাশাপাশি ত্রিপুরার স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজিপি-কে নির্দেশ, এ দিন আদালত যে রায় দিয়েছে, তার পালন কী ভাবে হচ্ছে আদালতকে তার রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
Be the first to comment