বুধবার সুপ্রিম কোর্ট শাহিনবাগের বিক্ষোভের বৈধতার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের মত, প্রতিবাদকারীদের দ্বারা কোনও সরকারি এলাকা, যেমন রাস্তা, পার্ক অনির্দিষ্টকালের জন্য দখল করা যায় না। বিচারপতি সঞ্জয় কে কৌলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে যে আইনের আওতায় প্রতিবাদের অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে সরকারী রাস্তা বা পাবলিক স্পেস দখল করা একেবারেই বৈধ নয়। সিএএ এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল শাহিনবাগ। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে বসেছিলেন প্রতিবাদীরা। তার সরাসরি প্রভাব পড়েছে জনজীবনে, এমনই মনে করছে আদালত। ‘শাহিনবাগ বা অন্য কোথাও হোক, জনসাধারণের ও সরকারি জায়গা এভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য দখল করা যায় না’ রায়ের অংশ বিশেষ পড়ার ক্ষেত্রে একথা বলেছেন বিচারপতি।
বেঞ্চ আরও জানিয়েছে যে সংবিধানের আওতায় প্রতিবাদের অধিকার নিশ্চিত হওয়া সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পরে বিক্ষোভ নির্দিষ্ট স্থানে দেখাতে হবে। সাধারণ মানু্্ষের জায়গা দীর্ঘদিন দখল করে রাখা চলবে না। এই বেঞ্চটি অ্যাডভোকেট অমিত সাহনীর একটি আবেদনের ভিত্তিতে রায় দিয়েছে। আবেদনকারী দিল্লির শাহিনবাগ অঞ্চলটিতে রাস্তা পরিষ্কার করতে দিল্লি পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যর্থতার অভিযোগ করেছেন।
তিনি তাঁর অভিযোগে বলেছিলেন, দিল্লি রাজধানী এলাকা থেকে দেশের বিভিন্ন অংশের যোগাযোগের মূল রাস্তাটিই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এই প্রতিবাদের সময়। যার জেরে লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষকে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়।
দেশের শীর্ষ আদালত এদিন তার রায়ে জানিয়েছে, দিল্লি পুলিশ সত্যিই ব্যর্থ হয়েছিল। আদালতের রায় সত্ত্বেও তাঁরা রাস্তা থেকে অবস্থান সরিয়ে জনজীবন স্বাভাবিক করতে পারেনি। বলা হয়েছে যে প্রশাসনকে অবশ্যই সাধারণ মানুষকে বাধাহীন রাখতে হবে এবং তারা আদালতের আদেশের জন্য অপেক্ষা করতে পারে না বা প্রতিবাদকারীদের সাথে খালি আলোচনা চালিয়ে যেতে পারে না।
Be the first to comment