দেশের যা পরিস্থিতি, তাতে মানুষের প্রাণ বাঁচানোর প্রশ্ন উঠলে হস্তক্ষেপ করবেই সুপ্রিম কোর্ট। আর সেই সূত্রেই মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সরাসরি কেন্দ্রের কাছে জানতে চান, করোনা ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য আলাদা দামে পাবে কেন? এ বিষয়ে কেন্দ্রের জবাবও তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়, অবিলম্বে দেশে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতেও নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
এদিন সুপ্রিম কোর্টে তরফে বলা হয়েছে, ‘দেশে এখন জাতীয় বিপর্যয় চলছে, আর এমন সময় আদালত নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারে না। মানুষের জীবন বাঁচানোই আদালতের অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে। আদালত যখনই মনে করবে, তখনই হস্তক্ষেপ করবে।’
একই সঙ্গে দিল্লি, কলকাতা, মাদ্রাজ হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে দেশের নির্বাচন কমিশন। গতকালই মাদ্রাজ হাইকোর্ট কমিশনকে তীব্র তিরস্কার করে বলেছে, ‘দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন। কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হওয়া উচিৎ।’ সেই প্রেক্ষিতেই এদিন সুপ্রিম কোর্টও বলেন, ‘হাইকোর্টগুলিরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
এদিন সলিসিটর জেনারেলের কাছে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, ‘টিকাকরণই কি এই মুহূর্তে করোনা মোকাবিলার একমাত্র উপায়? জাতীয় বিপর্যয় চলছে, সঙ্কট মোকাবিলায় কেন্দ্রের জাতীয় পরিকল্পনা কী?’ প্রসঙ্গত, ভ্যাকসিনের দামে বৈষম্য নিয়ে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছে বিরোধী দলগুলি। সেরাম ইন্সস্টিউটের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রকে তাঁরা ভ্যাকসিন দেবে ১৫০টাকায়, রাজ্যগুলিকে ৪০০ টাকায় এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ৬০০ টাকায়। কেন এই দামের হেরফের, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব দেশের সমস্ত বিরোধী দল, মায় আমজনতাও। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কাছেও বিষয়টি জানতে চাইল শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, গতকালই নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করে মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ২ মে গণনার দিন কোভিড প্রোটোকল পালন করার বিষয়ে নির্দিষ্ট ব্লু প্রিন্ট জমা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এরপরই এদিন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ২ মে ফলের পর কোনও বিজয় মিছিল করা যাবে না।
Be the first to comment