নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টার পদ ছাড়লেন অর্থনীতিবিদ সুরজিৎ ভাল্লা

Spread the love
সোমবারই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন উর্জিত পটেল। মঙ্গলবার জানা গেল, আরও এক বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ সরকারের সঙ্গে সংশ্রব ত্যাগ করেছেন। তিনি হলেন সুরজিত ভাল্লা। প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের আংশিক সময়ের সদস্য ছিলেন। মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ১ ডিসেম্বরই পদত্যাগ করেছেন। কেন পদত্যাগ করেছেন তা অবশ্য জানাননি।
আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের নেতৃত্বে আছেন নীতি আয়োগের সদস্য বিবেক দেবরায়। অন্যান্য আংশিক সময়ের সদস্যের মধ্যে আছেন রথীন রায়, অসীমা গয়াল এবং শমিকা রবি।
প্রধানমন্ত্রীর অফিসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভাল্লার ইস্তফা গ্রহণ করেছেন। ভাল্লা বলেছেন, তিনি অন্য কোনও সংস্থায় যোগ দিতে চান। একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদপত্রে নিয়মিত তাঁর কলাম প্রকাশিত হয়। তাতে এতদিন সরকারকে সমর্থনই করতেন। কিন্তু কিছুদিন আগে নীতি আয়োগের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেন। তার আগে নোটবন্দি ও জিএসটি চালুর জন্য নানা মহলে সরকার সমালোচিত হয়। অভিযোগ, ওই দুই পদক্ষেপের ফলে মোট জাতীয় উৎপাদন কমে যায় ৫.৭ শতাংশে। তার পরে অর্থনৈতিক বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য ওই পরিষদ গঠিত হয়।
উর্জিত পটেলের পরে ভাল্লার ইস্তফা নিয়েও বিরোধীরা সরব হবেন বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা। মঙ্গলবার যখন তাঁর ইস্তফার কথা জানা গিয়েছে, তখন পাঁচ রাজ্যে ভোটের ফল প্রকাশিত হচ্ছে। সকলের নজর সেদিকেই। তাই দ্রুত কেউ প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেননি।
সোমবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের পদত্যাগের খবর আসার পরেই সমলোচনায় মুখর হন অনেকে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন বলেন, উর্জিতের পদত্যাগের খবরে প্রত্যেক ভারতীয়ের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ আছে। কংগ্রেসের পি চিদম্বরম বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনও আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন লোক চাকরি করতে পারে না।
উর্জিত পটেল অবশ্য বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগত কারণে ইস্তফা দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি টুইট করেন, উর্জিত পটেলের অবদান আমরা মনে রাখব। কিন্তু বিরোধীরা একবাক্যে বলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে সরকারের বিরোধের জেরেই এই পদত্যাগ। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কাজকর্মে সরকার যেভাবে নাক গলাচ্ছিল, তাতে খুশি হননি অনেকেই। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর ভিরাল আচার্য সরাসরি বলেছিলেন, সরকার যদি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কাজে হস্তক্ষেপ করে, বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারিয়ে ফেলবেন। তাতে বিপর্যয় দেখা দেবে।
ভাল্লাও কোনওভাবে সরকারের ওপরে অসন্তুষ্ট হয়ে পদত্যাগ করলেন কিনা, সে ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছে পর্যবেক্ষক মহল।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*