ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধনে ভারতের উদ্দেশে ‘গুগুলি’ মন্তব্য করেছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী। পাক বিদেশমন্ত্রীর করা মন্তব্যের জবাব দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তাও আবার পাকিস্তানের কায়দাতেই।
ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক আলোচনার কথা হলেও বাস্তবে তা হয়ে ওঠেনি। ভারতের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সন্ত্রাস বন্ধ না হলে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও দ্বিপাক্ষিক আলোচনা নয়৷ তারপরেই বৃহস্পতিবার ছিল কর্তারপুর করিডরের শিলান্যাস অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল৷ কিন্তু তাঁরা সেই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন৷ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কৌর বাদল এবং হরদীপ সিংহ পুরি।
কর্তারপুর করিডরের এই শিলান্যাস অনুষ্ঠানেই পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতকে গুগলি দিয়েছেন৷ সেই গুগলি খেয়েই ভারত দুই প্রতিনিধিকে পাঠিয়েছে৷ কারণ আগে তো তাঁরা কেউ আসবেন না জানিয়েছিলেন।’
এই মন্তব্যের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয় ভারতের তরফে। শনিবার নিজের টুইটারে এই মন্তব্যের জবাব দেন সুষমা স্বরাজ। তিনি লেখেন, ‘‘পাক বিদেশমন্ত্রী, নাটকীয়ভাবে করা আপনার গুগলি মন্তব্য আপনাদেরই মুখোশ খুলে দিয়েছে৷ এতে প্রমাণ হল শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি আপনাদের কোনও শ্রদ্ধা ও সম্মান নেই৷ আপনারা শুধু গুগলি খেলেন।’’
শুধু এই বলেই ক্ষান্ত থাকেননি সুষমা। ভারত যে পাকিস্তানের গুগলির শিকার হয়নি তা পরের ট্যুইটে বুঝিয়ে দেন বিদেশমন্ত্রী৷ সুষমা লেখেন, ‘‘ভারত আপনাদের গুগলির শিকার হয়নি৷ শিখ সম্প্রদায়ের দুই মন্ত্রী কর্তারপুর করিডরের শিলান্যাস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিয়েছেন তাদের পবিত্র গুরুদ্বারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে৷’’
ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর বলেছিলেন, ভারত যদি বন্ধুত্বের জন্য ১ পা এগোয়, তাহলে পাকিস্তান ২ পা এগোবে। কিন্তু বাস্তবে এখনও পর্যন্ত তা দেখা যায়নি। তার উপর প্রতিনিয়ত সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। ভারতের তরফে অনেক আবেদনের পরেও এই নিয়ে কোনও হেলদোল দেখা যায়নি ইমরানের সরকারের। আর তাই পাকিস্তানের সঙ্গে এই মুহূর্তে কোনও আলোচনা সম্ভব না বলেই জানিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী।
Be the first to comment