সন্ত্রাসবাদ ও তার মদতদাতাদের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ

Spread the love

নিউ ইয়র্কে সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মন্ত্রীদের বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ ও তার মদতদাতাদের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ । তিনি বলেন, পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও সুস্থিতি বিঘ্নিত করছে সন্ত্রাসবাদীরা।  শান্তি না থাকলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতা সম্ভব নয়।  আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, কোনও বৈঠক, এমনকী যদি তা উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও হয়, তা সফল হতে পারে তখনই যখন মিটিংয়ের সিদ্ধান্তগুলি কাজে রূপায়িত করা হয়।

পাকিস্তান অতীতে সন্ত্রাসদমনের প্রতিশ্রুতি দিয়েও পালন করেনি। কিছুদিন আগে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার বৈঠকের ফাঁকে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী আলোচনায় বসুন। ভারত প্রথমে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে।  কিন্তু জঙ্গিরা কাশ্মীরে তিন পুলিশকর্মীকে হত্যা করার পরে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। এই প্রেক্ষিতেই সুষমা এদিন বলেছেন, মিটিংয়ে যা সিদ্ধান্ত হয় তা কাজে পরিণত করতে হবে।  না হলে শুধু শুধু বৈঠক করে লাভ নেই।  তিনি পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেননি।
শুক্রবার নিউ ইয়র্কে এখন রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার ফাঁকে বৈঠকে বসেন সার্ক গোষ্ঠীভূক্ত দেশগুলির মন্ত্রীরা। সুষমা সেখানে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই অঞ্চলে স্থিতিশীলতার পক্ষে সবচেয়ে বড় বিপদ হল সন্ত্রাসবাদ। আমাদের সব ধরণের সন্ত্রাসবাদের মূলোচ্ছেদ ঘটাতে হবে। তাদের সাহায্য পাওয়ার যে রাস্তাগুলি আছে, তাও বন্ধ করে দিতে হবে।

পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বিবৃতি দেওয়ার আগেই সুষমা সভা ছেড়ে চলে যান। তা লক্ষ করে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বলেন, সার্কের অগ্রগতির পক্ষে একটি দেশের মনোভাবই সবচেয়ে বড় বাধা। আমরা আশা করেছিলাম, ভারত ইতিবাচক মনোভাব দেখাবে। কিন্তু ভারতের বিদেশমন্ত্রী সভার মাঝপথে বেরিয়ে গেলেন। হয়তো তাঁর শরীর খারাপ হয়েছে।

ভারতের বিদেশমন্ত্রকের অফিসাররা এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, ভাষণ শেষ হওয়ার পরে অনেকেই বেরিয়ে যান। এদিন বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মন্ত্রীরাও বেরিয়ে গিয়েছিলেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*