শুভেন্দুকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েও প্রত্যাহার পুলিশের, তৃণমূলকে কটাক্ষ বিরোধী দলনেতার

Spread the love

সাত দিনের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে নোটিস পাঠিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের দুর্গাচক থানা। কিন্তু পরে পুলিশ ‘ভুল করে হয়ে গিয়েছে’ বলে তা প্রত্যাহার করে নেয়। এ নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু। তাঁর কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে তৃণমূলের গণ সংগঠনে পরিণত করেছেন।

গত ১৬ মার্চ দুর্গাচক থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মামলায় অতিমারি পরিস্থিতিতে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া মিটিং-মিছিল করা, পুলিশের কাজ বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দুকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। সাত দিনের মধ্যে তদন্তকারী আধিকারিকের সামনে তাঁকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

পাল্টা আইনজীবীর চিঠি পাঠান শুভেন্দু। সেই চিঠিতে রাজ্য পুলিশকে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতির নির্দেশের অংশ তুলে ধরা হয়। যেখানে বিচারপতি বলেছিলেন, বিবৃতি নেওয়ার প্রয়োজন হলে যেন সামাজিক দায়িত্বের দিকে খেয়াল রেখে তাঁর সুবিধাজনক সময় ও স্থানের কথা জানানো হয়। শুভেন্দু নিজের টুইটে দাবি করেন, এই চিঠি পাওয়ার পরেই আদালত অবমাননার ভয়ে রাজ্য পুলিশ তাঁকে দেওয়া নোটিস প্রত্যাহার করেছে। এই সংক্রান্ত আরও একটি টুইট করেছেন তিনি।

টুইটে শুভেন্দু কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও। তাঁর দাবি, মমতা সফল ভাবে রাজ্য পুলিশকে তৃণমূলের গণসংগঠনে পরিণত করেছেন। এতে পুলিশের কর্মদক্ষতা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই উচ্চ আদালত পর পর মামলায় সিবিআইয়ের উপর আস্থা প্রকাশ করছে।

প্রসঙ্গত, এই ধারাবাহিক টুইটের শেষ অংশে শুভেন্দু বাংলার প্রায় সমস্ত পুলিশ আধিকারিক এবং দফতরের হ্যান্ডলকে ট্যাগ করেছেন। সেই সঙ্গে জুড়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা, বিজেপির শীর্ষ নেতা বিএল সন্তোষ এবং অমিত মালবীয়কেও। এ বিষয়ে সরকার বা তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।