রাইসিনা হিলসের পরবর্তী বাসিন্দা বেছে নিতে দুই শিবির দুই প্রার্থীকে মনোনীত করেছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবিরের প্রার্থী পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দ্রৌপদী মুর্মু । তাঁকে সমর্থনের আবেদন জানিয়ে তৃণমূল সাংসদদের চিঠি শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদারের। বিজেপির প্যাডে লেখা ওই চিঠির শেষাংশের বয়ান ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। চিঠির ভাষা নিয়ে আপত্তি তৃণমূলের। শুভেন্দুকে পালটা কটাক্ষ করেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়।
চিঠির শেষাংশে লেখা হয়েছে, দ্রৌপদীদেবীর বিজয় নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও বিজেপির পক্ষ থেকে আপনার কাছে ভোট প্রার্থনা করছি। কারণ, বর্তমান সময়ে কষ্ঠিপাথরে শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুর দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে আসীন হওয়া সর্বোত্তম পদক্ষেপ বলে আমরা মনে করি। আসুন এমন জনজাতি, মহিলা, দীর্ঘ জীবন জনসেবায় ব্রতী প্রার্থীকে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছনোর যজ্ঞে শামিল হই। ভারতীয় গণতন্ত্রের বহুবিধ চরিত্রকে সুদৃঢ় করি।”
শুভেন্দুর লেখা চিঠির শেষাংশ নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ওই চিঠির কথা উল্লেখ করেন বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। তিনি শুভেন্দুর চিঠির পালটা জবাবে জানান, যদি দ্রৌপদী মুর্মু জিতেই যান, তবে তাঁকে সমর্থনের প্রশ্ন উঠছে কীভাবে? যদিও গত শুক্রবার রথযাত্রার দিন দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রৌপদী মুর্মুর জয়ের সম্ভাবনা বেশি বলেই দাবি করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি ভোটে সহমতে প্রার্থী না হওয়ার জন্য বিজেপিকে দায়ীও করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থন চাওয়া চিঠি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চলছে জোর আলোচনা।
আগামিকাল অর্থাৎ শনিবার দ্রৌপদী মুর্মুর কলকাতায় আসার কথা। যেতে পারেন রাজ্য বিধানসভায়। বিধায়কদের ভোট চাওয়ার কথা তাঁর। একদিনের সফর সেরেই তিনি ফিরে যাবেন বলে এখনও পর্যন্ত খবর। তবে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তারই মাঝে তৃণমূল সাংসদদের উদ্দেশ্যে লেখা শুভেন্দুর চিঠি জল্পনা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Be the first to comment