মঙ্গলবার শেষ রাত থেকেই শ্যামবাজার, মানিকতলা, ধর্মতলা, রাসবিহারী, গড়িয়াহাট সহ কলকাতার সমস্ত মোড়ে মোড়ে পুলিশ পিকেট বসানো শুরু হয়ে গিয়েছিল। কঠোর নিরাপত্তায় মোড়া সেই পরিবেশেই বুধবার সকাল থেকে বহালতবিয়তে যাতায়াত শুরু করে বিভিন্ন রুটের সরকারি ও বেসরকারি বাস। অন্যদিনের তুলনায় সরকারি বাসের সংখ্যা ছিল দৃশ্যতই বেশি। কেন না এ দিন বিজেপি-র ডাকা বনধ ব্যর্থ করে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পাঁচশ বাস চালানোর কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী। গঙ্গা পারাপারের জন্য বাড়ানো হয়েছে ফেরির সংখ্যাও। মঙ্গলবার ভোর রাত পর্যন্ত বাড়িতে বসেই এ দিন গোটা রাজ্যের পরিবহণ প্রস্তুতি নিয়ে খোঁজ খবর নেন পরিবহণ মন্ত্রী। তার পর সক্কাল সক্কাল পরিবহণ দফতরের কন্ট্রোল রুমে গিয়ে বসেন।
বনধ নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, “বনধ ব্যর্থ। বনধের কোনও প্রভাব পরিবহণের ক্ষেত্রে পড়েনি। কলকাতায় অন্য দিনের মধ্যে বাস, ট্রাম, স্কুল বাস, পুল কার চলছে। কোনও অশান্তি নেই।” তবে কলকাতার বাইরে বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী নিজেই। তাঁর কথায়, “আমাদের ৮টি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গে ৬ টি সরকারি বাস ভাঙা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে ১ টি ও হাওড়ায় ১ টি বাস ভাঙা হয়েছে।”
তবে মন্ত্রী এই দাবি করলেও একটা ব্যাপার ঠিক যে কলকাতার রাস্তায় অন্য দিনের তুলনায় বুধবার সকাল থেকে লোকজন ছিল কম। তার একটা কারণ হতে পারে লাগোয়া শহরতলিগুলিতে দফায় দফায় রেল অবরোধ। ফলে হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশন থেকে বেরিয়ে নিত্যদিন সকালে যে বিপুল সংখ্যায় যাত্রী বাস, ট্যাক্সি ধরেন, সেই ছবিটা সকাল পৌনে ৯ টা পর্যন্ত ছিল না। ফলে বাস চললেও বহু রুটে যাত্রী সংখ্যা ছিল কম। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করলে তা বাড়বে বলেই মনে করছেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা।
Be the first to comment