একদিকে যেমন চাপা টেনশন। অন্যদিকে তেমনি আত্মবিশ্বাস। স্বপ্না দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। এমন বিশ্বাস ছিলই ৷ শেষপর্যন্ত এশিয়াডের মঞ্চে দেশ এবং বাংলার নাম উজ্জ্বল করতে সফল তিনি ৷ হেপ্টাথলনে সোনা জিতলেন স্বপ্না ৷ ৬০২৬ পয়েন্ট তুলে রেকর্ড গড়লেন তিনি। বিশ্বের পঞ্চম মহিলা হিসেবে এই রেকর্ড গড়লেন তিনি।
বাবা পঞ্চানন বর্মণ রিকশা চালাতেন। পক্ষাঘাতে পড়ার পর তিনি অচল। আর মা বাসনা বর্মণ কাজ করতেন চা বাগানে। ছোটোবেলা থেকেই অনটনের সংসারে বড় হয়েছেন। কিন্তু খেলাকে ভালোবাসতেন। তাই অভাবের মাঝেও তা ছাড়তে পারেননি। স্কুলের স্যার বিশ্বজিৎ কর স্বপ্নাকে হাত ধরে প্রথম মাঠে নিয়ে আসেন। সেই শুরু। এরপর উত্তমেশ্বর হাইস্কুলের শিক্ষক বিশ্বজিত মজুমদার তাঁকে পেশাদারি শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দেন। ভরতি হন সুকান্ত সিনহার প্রশিক্ষণে। SAI-র সুভাষ সরকারের তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন স্বপ্না। কোচের সঙ্গেই এখন তিনি জাকার্তায়। সোনা জয়ের স্বপ্ন ছিল। কিন্তু এভাবে জিতবেন, ভাবতে পারেননি। হেপটাথেলনে ৬০২৬ পয়েন্ট তুললেন। যা ক্রীড়াবিশ্বে রেকর্ড। মাত্র পাঁচজন মহিলার মধ্যে উঠে এলেন স্বপ্না। ট্যুইটারে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷
Be the first to comment