শনিবার ব্রিটিশ টাইম বিকেল তিনটে থেকে স্তব্ধ হয়ে যাবে লন্ডন। রাশিয়ায় তখন সুইডেনের মুখোমুখি ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে ওঠার জন্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। গত ২৮ বছরে শেষ চারে ওঠেনি ইংল্যান্ড। একবারই তারা কাপ জিতেছে ১৯৬৬ সালে। ম্যানেজার গারেথ সাউথগেট নিশ্চিত, এবার ইতিহাস তৈরি করবে তাঁর দল। শেষ চারে পৌঁছনোর ব্যাপারে অনেকেই ইংল্যান্ডের পক্ষে বাজি ধরেছিলেন। কারণ সামারায় পরের খেলায় যেই জিতুক তাদের পড়তে হবে রাশিয়া অথবা ক্রোয়েশিয়ার মুখে। জোরকদমে বানানো চলছে বার বি কিউ, সেজেগুজে তৈরি পাবগুলিও। বিগ স্ক্রিনে ম্যাচ দেখতে ভিড় জমাবে ফুটবল পাগলরা। কলোম্বিয়ার সঙ্গে দলের খেলা দেখেছিলেন ২ কোটি ৩৬ লাখ ব্রিটিশ। ইংল্যান্ড ১৯৯০ সালের পর এবার মরিয়া লড়াইয়ে নামছে সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য। শেষ চারে শেষ সুইডেন উঠেছিল ১৯৯৪ সালে। সেবার তারা বিশ্বকাপে তৃতীয় হয়েছিল। রানার আপ হয়েছিল ১৯৫৮ সালে।
তবে ইংল্যান্ডের এবার উদ্বেগ বাড়িয়েছে স্ট্রাইকার জেমি বার্দির কোমরের চোট। তবে গোড়ালির চোট সারিয়ে লেফট ব্যাক অ্যাসলে ইয়ংয়ের মাঠে ফারার সম্ভাবনা ষোলো আনা। মিডফিল্ডার জেলে আলির থাইয়ের চোটও গুরুতর নয়। তেব বার চোখ হ্যারি কেনের ওপর। আর একটা গোল করতে পারলেই তিনি ভাঙবেন গ্যারি লিনেকারের রেকর্ড। ৬ বার গোল করে গোল্ডেন বুট তিনিই পাচ্ছেন কিনা আগ্রহ তা নিয়েই। সে যাই হোক, ইংল্যান্ডে এখন চতুর্দিকে ঝুলছে বড় বড় ব্যানার — কাপ ইজ কামিং হোম। কাপ আসছে ঘরে। ৯৬-এর ইউরোর সময় কমেডিয়ান ডেভিড ব্যাড্ডিয়েল আর ফ্রাঙ্ক স্কিনারের দ্য কাপ ইজ কামিং হোম গানটি এখন মুখে মুখে।
Be the first to comment