জয়ালক্ষীই সুইগি-র প্রথম ‘ফুড ডেলিভারি গার্ল’

Spread the love

গরিবির দাপট বাড়ছিল। স্বামীর দিন মজুরিতেও চলছিল না পেট। তাই ভাবনা চিন্তা না করেই চেন্নাইয়ের  সুইগি অফিসে হাজির হয়েছিলেন জয়ালক্ষ্মী। আবেদন করেছিলেন, ফুড ডেলিভারির কাজে তাঁর স্বামীকে সুযোগ দেওয়া হোক । সেখানেই হল উলট-পুরান। স্বামী নয় বরং জয়ালক্ষ্মীকেই ফুড ডেলিভারি-র কাজ দিতে চাইল সুইগি। লুফে নিলেন মহিলা। সুইগি-র প্রথম ‘ফুড ডেলিভারি গার্ল’ হিসেবে শুরু করেন কাজ।

কেটে গিয়েছে এক মাস। নিজের কাজ উপভোগ করেন জয়ালক্ষ্মী। রোজ খাবারের বাক্স নিয়ে পৌঁছে যান চেন্নাইয়ের অলি-গলিতে, হাসিমুখে। ফুড ডেলিভারির কাজে মহিলাদের নিয়োগ সুইগির নতুন পরিকল্পনা। যা শুরু হওয়ার কথা ২০১৯ -এর মার্চ মাসে। অন্তত ২০০০ মহিলাকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সুইগি। যাঁরা দেশের বিভিন্ন শহরে ফুড ডেলিভারির কাজ করবেন। কিন্তু, সেই ছকের বাইরে গিয়েই সুইগি পেয়ে গিয়েছে জয়ালক্ষ্মীকে। যিনি আপাতত এই সংস্থার প্রথম মহিলা খাদ্য বাহক। জয়ালক্ষ্মীর পথ ধরে ইতিমধ্যেই সুইগিতে কাজ করছেন বিভিন্ন শহরের আরও ৬০ মহিলা।

আমেদাবাদ, কোচিন, কলকাতা, মুম্বই, নাগপুর ও পুনেতে  ৬০জন মহিলা ফুড ডেলিভারির কাজ করছেন। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তাঁদের কাজের সময়সীমা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত করা হয়েছে। এছাড়া হেল্পলাইন নম্বরও থাকছে মহিলা কর্মীদের কাছে। সুইগি জানাচ্ছে, খুব আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই কাজ করে চলেছেন ৬০ জন ফুড ডেলিভারি গার্ল।
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে ফুড ডেলিভারির কাজ। তারপর, একটি ক্লিনিকেও কাজ করেন জয়ালক্ষ্মী। তাঁর পরিবারে এখন নেই অর্থাভাব। ইতিহাস তৈরি করে তিনিই না কি সুইগির রানি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*