অল পার্টি হুরিয়ত কনফারেন্স থেকে পদত্যাগ করলেন কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। সোমবার একটি অডিয়ো বার্তায় দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। জানিয়ে দেন, তিনি এ বার থেকে হুরিয়তের দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন।
গিলানি বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি অল পার্টি হুরিয়ত কনফারেন্স থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। এই সিদ্ধান্ত দলের সব মহলে জানিয়ে দিয়েছি।’ দলীয় কিছু কর্মীর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ তাঁর ইস্তফার অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন তিনি। গিলানির মতো কট্টর বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার দল থেকে ইস্তফার ঘটনা জম্মু ও কাশ্মীরের চিত্রকে অনেকটাই পালটে দিতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
ভূস্বর্গের বৃহত্তম বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হুরিয়ত কনফারেন্স। বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী দলের মিলিত সংগঠন এটি । ৯০ বছরের গিলানি ছিলেন সেখানে আজীবনের জন্য চেয়ারম্যান। ২০১০ সাল থেকে নতুন ধরের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের চিত্র ভেসে উঠতে শুরু করে উপত্যকায়। যখন প্রতিবাদের মূল অস্ত্র হয়ে উঠতে শুরু করে পাথর ছোড়া। সেই সময় থেকে বেশিরভাগ সময়েই গৃহবন্দি অবস্থায় থাকতে হয়েছে গিলানিকে।
অডিয়ো বার্তার পাশাপাশি এ দিন দু পাতার একটি চিঠিও প্রকাশ করেছেন বিদায়ী হুরিয়ত নেতা। গত বছর অগস্ট মাসে নরেন্দ্র মোদী সরকার কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর হুরিয়তের অন্যান্য দল ও নেতারা কিছুই করতে পারেনি বলেও অভিযোগ করেছেন গিলানি। তিনি লিখেছেন, ‘আমি অনেকবার বার্তা দিয়েছি, এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করার জন্য। কিন্তু আমার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এখন আর্থিক অনিয়ম নিয়ে বিশ্বাসযোগ্যতার খাঁড়া আপনাদের মাথার উপরই ঝুলছে। আপনাদের পরামর্শদাতাদের বৈঠক ডাকা উচিত ছিল।’
তাঁকে ২০০৩ সালে জোর করে হুরিয়ত কনফারেন্সের সিংহাসনে বসানো হয় বলে দাবি করেছেন গিলানি। পরে তাঁকে আজীবনের চেয়ারম্যান করা হয়। গিলানির কথায়, ‘নিয়মানুবর্তিতার অভাব এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। আপনারা সব সীমা ছাড়িয়ে দিয়েছেন আর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ উসকে দিয়েছেন।’
Be the first to comment