বন্ধ টালা ব্রিজ। ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক রুটের বাস। সেই রুটে বাস চালাতে সমস্যা হচ্ছে, সম্মুখীন হতে হচ্ছে আর্থিক ক্ষতির। এই অভিযোগ তুলে এবার ৯টি রুটের বাস বন্ধ করলো বাস মালিকরা। প্রায় ৯০০টি বাস বন্ধ হবে বলে জানিয়েছে বাস মালিক সংগঠন। ফলে চরম আর্থিক সংকটের মুখে একাধিক পরিবার। ভোগান্তি বাড়বে নিত্যযাত্রীদেরও।
ভারী গাড়ি চললেই কাঁপছিল সেতু। আশঙ্কা নিয়েই টালা ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করতেন নিত্যযাত্রীরা। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর ২৪ সেপ্টেম্বর টালা ব্রিজে বন্ধ হয়েছিল ভারী গাড়ি ও বাস চলাচল। ঘুরিয়ে দেওয়া হয় ধর্মতলা, দক্ষিণ কলকাতা, হাওড়াগামী একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বাস। দু্র্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। তবে, তার থেকেও বেশি সমস্যায় পড়তে হয় বাস চালক ও কন্ডাক্টরদের। বিকল্প রুটে যাত্রী কম। রুট বড় হয়ে যাওয়ায় তেল খরচাও অনেক বেশি পড়ছে। ফলে বাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন বাস মালিকরা। প্রথমে ৩৪সি ও ৩৪বি রুটের সব বাস বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর এই একই কারণ দেখিয়ে সোমবার বন্ধ হল ৭টি রুটের বাস। শহরে অন্যতম ব্যস্ত রুটের বাস বন্ধ হওয়ায় মাথায় হাত কয়েক হাজার পরিবারের। কীভাবে খাবার জুটবে, এই বাসগুলির সঙ্গে যুক্ত প্রায় কেউই। তাঁদের হয়ে তাই আন্দোলনে নামলো নাগরিক অধিকার মঞ্চ। আগামীদিনে বিকল্প রুটের দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা।
নোয়াপাড়া থেকে হাওড়া, ৩৪সি বন্ধ হল ৷ ডানলপ থেকে ধর্মতলা, ৩৪বি বন্ধ হয়েছিল আগেই। এবার বনহুগলি থেকে বেহালা চৌরাস্তা, ২২২; নিমতা থেকে নিকোপার্ক, ২০১ ; দক্ষিণেশ্বর থেকে সেক্টর ৫, ৩২এ; কামারহাটি থেকে চিড়িয়াখানা, ২৩০; বেলঘড়িয়া থেকে গল্ফগ্রিন, ২৩৪ বন্ধ হয়ে গেল। নিমতলা-হাওড়া রুটের ১৮০ এবং বেলঘরিয়া -হাওড়া ১৮৫ রুটের বাস রুট বন্ধ করলেন বাস মালিকরা।
এবিষয়ে নাগরিক অধিকার রক্ষা মঞ্চের আহ্বায়ক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে যাবই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হবো।
Be the first to comment