সংস্কারের পর টালা ব্রিজ চালুর আগে বিক্ষোভ। সেতু সংস্কারের সময় নিচ থেকে ৩০-৪০টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল। অভিযোগ, খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। তিন বছর কেটে গেলেও তাঁদের স্থায়ী ঠাঁই মেলেনি। বাসিন্দাদের দাবি, বারবার অভিযোগ করেও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিজের আবেদন পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এদিন মানববন্ধন করলেন তাঁরা। যদিও এই বিক্ষোভের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি স্থানীয় কাউন্সিলর তরুণ সাহার।
৩০ মাস পর বৃহস্পতিবার টালা ব্রিজের উদ্বোধন। পুরনো সেতুর নিচে ৩০-৪০টি পরিবারের বাস ছিল। সেতু সংস্কারের জন্য তাঁদের উচ্ছেদ করা হয়। খাল পাড়ে ত্রিপলে ঢাকা ঘরে থাকছেন তাঁরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় ১৫০ মানুষ খাল পাড়ে থাকছে। ত্রিপলে ঢাকা ঘর। অসহ্য গরম লাগে। বর্ষায় জল ঢোকে ঘরে। মাত্র দু’টি শৌচাগার। নরকযন্ত্রণার মধ্যে রয়েছেন বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দা উত্তম দাসের।
উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলির আরও অভিযোগ, “স্থানীয় কাউন্সিলর তরুণ সাহা আমাদের পুরনো বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ করেছিলেন। এখন উনি আমাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করছেন না। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।” তাঁদের আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এদিন মানববন্ধন করেন। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, “সেতুর কাজে কোনও বাধা দিতে চায়নি। আজও দিচ্ছি না। কিন্তু আমাদের পুনর্বাসন চাই।” ইতিমধ্যে ৬ জনকে আটক করেছে উল্টোডাঙা থানা।
যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ স্থানীয় কাউন্সিলর তরুণ সাহা। তাঁর কথায়, “খাল পাড়ে ৩০-৪০ জনের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘরের শুধু মেঝে সিমেন্ট করা হবে। আর মাথায় ত্রিপল সরিয়ে ছাদ দেওয়া হবে। এরপর চিৎপুর ব্রিজও তো ভাঙা হবে। সেখানে ৭০-৮০ জনকে সরাতে হবে। আমরা রেলকে বলেছি জমি দিতে। তাঁরা জমি দিলে সকলের ঘর একসঙ্গে করা যাবে।” তবে এদিনের আন্দোলনের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে বলেও মনে করছেন তিনি।
Be the first to comment