আসামিদের বিরুদ্ধে পুরোনো এক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালত। সেই মতো বুধবার দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তমলুকের গোবরা গ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত পাঁচ আসামি। বিচারক অভিযুক্ত পাঁচ আসামির জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন এবং আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন। এরপরই কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী পাঁচ অভিযুক্তকে জেল হাজতে নিয়ে যাওয়ার আগেই আগেই আদালত কক্ষ থেকে তারা চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনা নজরে আসার পর তমলুক থানার পুলিশ পলাতক আসামিদের খোঁজে গোবরা গ্রামে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে। আদালত চত্বরে পুলিশের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
২০১৬ সালে তমলুক থানার গোবরা গ্রামে একটি সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দা শেখ বাপ্পা, শেখ সিরাজ, শেখ পিয়ার, আকবর আলি ও শেখ আরব-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। মামলা চলার সময় আদালতের নির্দেশে শর্তাধীনে জামিন পেয়েছিল অভিযুক্তরা। পরে জেলা আদালতে ওই মামলার বিচার শুরু হয়। কিন্তু, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী জামিনে থাকা ওই ৭ জন অভিযুক্ত আদালতে হাজির না হওয়ায় ২ অগাস্ট তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এরপর বুধবার তাদের মধ্যে পাঁচজন তমলুক জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করে।
এ বিষয়ে শুনানির পর জেলা বিচারক পার্থসারথি সেন জামিনের আবেদন নাকচ করে তাদের ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন। অভিযোগ জেলা আদালতের বিচারকের পক্ষ থেকে ওই পাঁচ অভিযুক্ত রায় শোনার পরে এজলাসে ছিল। কিন্তু, কর্তব্যরত পুলিশ তাদের তমলুক সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার আগেই পুলিশের নজর এড়িয়ে আদালত কক্ষ থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। সন্ধ্যা নাগাদ আসামিদের হিসেব মেলাতে যাওয়ার সময়ই নজরে আসে বিষয়টি। নজরে আসার পরেই তমলুক থানায় ঘটনাটি জানানো হয়। এরপরই তমলুক থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পলাতক আসামিদের খোঁজ চালাতে গ্রামে তল্লাশি শুরু করে। সূত্রের খবর, দুই অভিযুক্তকে ধরে ফেললেও স্থানীয়দের বিক্ষোভ ও বাধার মুখে হাতছাড়া হয় দু’জনই।
যদিও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কেউই মুখ খুলতে রাজি হয়নি। জেলা আদালতের এই মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী হিমাংশুশেখর সামন্ত জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে জেল হেপাজতে নিয়ে যাওয়ার আগেই তারা পালিয়ে যায়। এটি খুবই অনভিপ্রেত ঘটনা।
Be the first to comment