পল মৈত্র, দক্ষিণ দিনাজপুর
প্রতিবছরই নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা টাঙ্গন নদীর ভাঙনের শিকার হয়। প্রত্যেক বছর বর্ষার শুরুতেই টাঙ্গন নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলিতে বসবাসকারী মানুষদের মনে আতঙ্ক বাসা বাঁধে, কখন জানি বসতবাড়ি ফসলি জমি ভিটেমাটি নদীগর্ভে চলে যায়। এলাকাবাসীরা জানান রোজ একটু একটু করে তিলে তিলে গড়ে তোলা ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। চোখের সামনে অসহায়ের মতো এই দৃশ্য দেখেও আটকানোর উপায় নেই আমাদের।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ৩নং এলাহাবাদ অঞ্চলের অন্তর্গত কারোই কলোনি থেকে বর্খৈর কলোনি অবধি প্রায় ১ কিমি গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তা বর্তমানে টাঙ্গন নদীর ভাঙনের গ্রাসে অবলুপ্তি পথে। এই অবস্থায় গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপন্ন হওয়ার মুখে। জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতি এবং প্রশাসনের আশ্বাসই সার। দীর্ঘদিন ভাঙ্গন প্রতিরোধের জন্য সরকারি তরফে সেইরকম কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি প্রশাসনিক তরফে।
বিপদ ধেয়ে আসছে দেখেও নিরুপায় হয়ে দেখা ছাড়া আর কোন উপায় নেই গ্রামবাসীদের। নদীর তীরবর্তী অন্যান্য গ্রামগুলো ভাঙনের ফলে বিপর্যস্ত হলেও, সবথেকে বিপন্ন অবস্থা ৩ নং এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের অন্তর্গত কারোই কলোনি এবং বর্খৈর কলোনি এই ২ গ্রামের। প্রশাসনের কাছে সমস্যা দ্রুত সমাধান এবং ক্ষতিগ্রস্ত নদী তীরবর্তী অঞ্চল দ্রুত বোল্ডার দিয়ে বেঁধে ভাঙ্গন রোধের আর্জি জানিয়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার সর্বস্ব হারানো অসহায় মানুষরা।
Be the first to comment