ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় গ্রেফতার এক যুবক। সিবিআই গ্রেফতার করেছে তাকে। ধৃতের নাম জাবির আনসারি। বাড়ি ঝাড়খণ্ডের রামগড়ে বলে খবর। যদিও, গোটা বিষয়টি নিয়ে সিবিআই-এর তরফে কিছু জানানো হয়নি।
সূত্রের খবর, গত ১৩ মার্চ তপন কান্দুর হত্যার ঘটনায় আটক করা হয় আশিক খান নামে এক ব্যক্তিকে। তিনি ঝালদার কুটিডির বাসিন্দা। ধৃতের শ্বশুরবাড়ি বাড়ি রামগড়ে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসে। সেই ফুটেজে দেখা যায় ধৃত ব্যক্তি ঝাড়খণ্ডের কলেবর সিং নামে ঝাড়খণ্ড বোকারোর বাসিন্দা এক ব্যক্তির বাইকের পিছনে বসে আছেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা মনে করছেন যিনি বাইকটি চালাচ্ছিলেন তিনিই শ্যুটার।ধৃত আশিক খানের সূত্র ধরেই শনিবার ঝাড়খণ্ড থেকে জাবিককে গ্রেফতার করা হয়।
এ প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মহাতো জানিয়েছেন যে তাঁর কাছেও এমন খবর রয়েছে। যদি সত্যিই খুনি ধরা পড়ে তাহলে তা নিঃসন্দেহে বড় সাফল্য সিবিআই-এর। নেপাল মাহাতো বলেন, ‘প্রথম থেকেই সিবিআই এর উপর আমাদের ভরসা ছিল। পূর্ণিমা কান্দু, ঝালদার মানুষের চোখের জল পড়েছে। এরপর মহামান্য হাইকোর্ট সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল যাতে দোষীদের ধরা হয়। সেই মতো সিবিআই কাজ করছিল। প্রথম থেকে সিবিআই ভাল কাজ করেছে। মাঝখানে একটু স্তিমিত ছিল। তবে সিবিআই প্রমাণ করে দিল তারা সিবিআই। তাই তাদেরকে আমার অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।’
পুরুলিয়ার ঝালদায় গত পুরসভা নির্বাচনে তপন কান্দুর বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন তাঁরই ভাইপো দীপক কান্দু। নির্বাচনে ভাইপোকে হারিয়ে কংগ্রেসের তরফে জয় ছিনিয়ে নেন তিনি। তবে গত ১৩ মার্চ বোর্ড গঠনের আগেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন তপন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। গ্রেফতার হন দীপন, তপন কান্দুর বাবা নরেন কান্দু, ঝালদার ধূপ ব্যবসায়ী আশিক খান, হোটেল মালিক সত্যবান প্রামাণিক এবং ভাড়াটে খুনি যোগসূত্রে অভিযুক্ত কলেবর সিংহ। এরপর গতকাল ঝাড়খণ্ড থেকে আরও এই জাবির আনসারিকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।
Be the first to comment