কোরোনায় মৃত্যু হল বিশিষ্ট শিক্ষক ও ভাষা-শিক্ষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা তপন রায়চৌধুরি । বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর । তিনি সম্প্রতি কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন । ফুসফুসে ক্যানসারেও ভুগছিলেন । সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে ২৬ জুলাই থেকে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। সেখানেই তাঁর মৃত্য়ু হয়।
২৬ জুলাই সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে শিল্পী-সাংস্কৃতিক কর্মী-বুদ্ধিজীবী মঞ্চের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য তথা এই মঞ্চের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক তপন রায়চৌধুরিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল । তিনি কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন । ফুসফুসের ক্যানসারেও আক্রান্ত ছিলেন তিনি। দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।
তাঁর প্রয়াণে শিল্পী-সাংস্কৃতিক কর্মী-বুদ্ধিজীবী মঞ্চের তরফে এক শোকবার্তায় বলা হয়, তপন রায়চৌধুরির প্রয়াণে দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ক্ষতি হল । গণতন্ত্রপ্রিয় ও শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ হারালেন তাঁদের আপনজন এক বিশ্বস্ত সঙ্গীকে । প্রয়াত তপন রায়চৌধুরির পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীদের সমবেদনা জানিয়েছে শিল্পী-সাংস্কৃতিক কর্মী-বুদ্ধিজীবী মঞ্চ ।
ছাত্রাবস্থা থেকেই বামপন্থী ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তপন রায়চৌধুরি। ২০০৬-০৭ সালে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম-লালগড় আন্দোলনের সমর্থনে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের বিশিষ্ট শিল্পী, সাংস্কৃতিক কর্মী, বুদ্ধিজীবীদের একত্রিত করে আন্দোলন সংগঠিত করতে অন্যতম মুখ্য দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
২০০৭ সালের ১৪ নভেম্বর কলকাতায় ঐতিহাসিক মহামিছিলের আয়োজনেও তাঁর ভূমিকা ছিল । রাজ্যের গণতান্ত্রিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা আন্দোলনের বিশিষ্ট মুখ হয়ে উঠেছিলেন তপন রায়চৌধুরি।
Be the first to comment