গ্রামে শিক্ষার আলো আনতে ২০১১ সালে জমি দান করেন কৃষক পরিবারের ছেলে সুনীল চ্যাটার্জি। আর সেই স্কুলের আরও ডেভলপমেন্টের জন্য জমি দান করলেন তাঁরই ছেলে শুভেন্দু চ্যাটার্জি। তারকেশ্বর ব্লকের ভঞ্জীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক প্রান্তে প্রত্যন্ত গ্রাম “সইতে” ২০১২ সাল থেকে একটি ক্লাস নিয়ে শুরু হয়েছিল এই স্কুল। প্রথমে পঞ্চম শ্রেণী তার পর আস্তে আস্তে ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়ানো হয়। বর্তমানে তিনটি পাকা ঘর, মোট শিক্ষক চার জন, ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ৭২ জন। স্কুলে মিড ডে মিলের ব্যবস্থা আছে, আছে রান্না ঘর, বাথরুম। স্কুলটি গ্রামের শেষ প্রান্তে হওয়ায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব রয়েছে। প্রধান শিক্ষক বলেন রাতে স্কুলের ফাঁকা জায়গায় অসামাজিক কাজ কর্ম হয় বলে তাঁর ধারণা এ বিষয়ে বিডিও ও থানায় অভিযোগ করেছেন। স্কুলটা যদি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা থাকতো তাহলে কিছুটা আটকানো সম্ভব কিন্তু তার জন্য পর্যাপ্ত জয়গা নেই। আজ আমাদের হাতে স্কুল লাগোয়া নয় শতক জায়গা তুলে দিলেন শুভেন্দু চ্যাটার্জি। স্কুলের জন্য অনেক উপকার হলো। শুভেন্দু বাবু বলেন এই স্কুলে ছয়টি গ্রামের ছাত্র ছাত্রী পড়াশোনা করতে পারবে। বাবা গ্রামে শিক্ষার আলো আনতে ২০১১ সালে ছয় শতক জায়গা দান করেন। স্কুলে জায়গা নিয়ে এখনো সমস্যা তাই আর নয় শতক জায়গা স্কুলের নামে দিয়ে দিলাম, গ্রামকে উন্নত দেখতে এই প্রয়াস।
– সুভাষ মজুমদার
Be the first to comment