সুভাষ মজুমদার –
বজবজে ভাগাড় কাণ্ড সামনে আসার পর নড়েচড়ে বসে রাজ্য প্রশাসন। এরপরই কোলকাতা থেকে জেলায় জেলায় শুরু হয় নামি দামি হোটেল রেস্তোরাঁয় অভিযান । উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রমরমিয়ে চলছে ভাগাড়ের মরা পশুর মাংস বিক্রি। সতেজ রাখার প্রক্রিয়াকরনের পরই চলে যেত বিভিন্ন নামি দামি রেস্তোরাঁয়। রাজ্য প্রশাসন তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে অনেক মাংস বিক্রেতাকে।
ভাগাড় কান্ডের জেরে এবার নড়েচড়ে বসল তারকেশ্বর পুরসভাও। সোমবার রাতে হঠাৎই হানা তারকেশ্বরের বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরায়। অভিযান চালান পুরপ্রধান স্বপন সামন্ত। জয়কৃষ্ণ বাজার থেকে শুরু হয় অভিযান। গোটা ১৫ হোটেল রেস্তোরাঁর রন্ধন শালায় ঢুকে পুর প্রধান দেখেন কি ধরনের মাংস সাধারন মানুষকে খাওয়ানো হচ্ছে। কোথাও পচা মাংস রান্না হচ্ছে নাতো? তারকেশ্বর তীর্থস্থান হওয়ায় সারা বছর বহু মানুষ এখানে আসেন। যে কারনে অসংখ্য হোটেল রয়েছে গোটা তারকেশ্বর জুড়ে। সেই সব হোটেলে কি ধরনের মাংস খাওয়ানো হয় এতদিন তার খোঁজ কেউ নেয়নি। তবে বজবজে ভাগাড়ের মরা পশুর মাংসের খবর সামনে আসতেই বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে পচা মাংসের কারবারের খবর সামনে এসেছে তাতে শঙ্কিত মাংস ক্রেতা বিক্রেতা হোটেল ব্যবসায়ীরাও। অনেক রাত পর্যন্ত অভিযানে কিছু না পাওয়া গেলেও হোটেল ব্যবসায়ীদের সাবধান করে দিয়েছেন পুর প্রধান। আর পচা মাংস পাওয়া গেলে করা শাস্তি হবে তাও জানিয়ে দিয়েছেন।
পাশাপাশি আরামবাগ পুরসভার পুরপিতা স্বপন নন্দী প্রায় ১০ থেকে ১৫ হোটেল ও রেস্তোরাঁতে হানা দেন ৷
তারকেশ্বর পুরসভার পুরপ্রধান স্বপন সামন্ত
আরামবাগ পুরসভায় পুরপ্রধান স্বপন নন্দী
Be the first to comment