সুভাষ মজুমদার –
ভারতবর্ষ স্বাধীন হবার পর থেকেই দিকে দিকে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন জায়গায় স্কুল স্থাপন করতে শুরু করেছিলেন তৎকালীন সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। বিশেষ করে গ্রামে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে সচেষ্ট হয়েছেন অনেকেই। এরকমই তাদের মধ্যে একজন হরিসাধন পুরকাইত। তারকেশ্বরের গুড়িয়া গ্রামে তৎকালীন সময়ে শিক্ষার আলো আনতে নিজের জমি দান করেছিলেন।
১৯৫৪ সালে প্রায় দশ কাটা জমির উপর তৈরি করেছিলেন স্কুল, তারপর পেলো সরকারি অনুমোদন। প্রথম শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত ত্রিশ জন ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে শুরু হয় ক্লাস। যত দিন গেছে স্কুলের পরিকাঠামোগত উন্নতি বেড়েছে। বর্তমানে দু তলা বিল্ডিং। ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় দেড়শো।
স্কুল তৈরিতে সব থেকে বড় ভূমিকা যিনি নিয়েছিলেন সেই হরিসাধন পুরকাইতের অবয়ব মূর্তি প্রতিস্থাপন হলো আজ। বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মূর্তি উন্মোচন করলেন বাহিরখন্ড মঠের মহারাজ প্রজ্ঞানন্দ জি মহারাজ। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামের বৃদ্ধ থেকে শিশুরা।
Be the first to comment