শ্রাবন্তী-তনুশ্রী-পায়েলদের প্রার্থী করা নিয়ে নির্বাচনের আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথাগত রায়। তাঁর মন্তব্যে স্পষ্ট ছিল যে, অভিনেত্রীদের প্রার্থী করা নিয়ে মোটেও খুশি নন তিনি। শ্রাবন্তী দল ছাড়তেই ফের বিজেপিকেই বিঁধলেন তথাগত। বললেন, “গরীবের কথা বাসি হলে সত্যি হয়। বিজেপির কালীঘাটে পুজো দেওয়া উচিত।”
এক সময় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। তবে একুশের ভোটের আগেই গত পয়লা মার্চ গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রের প্রার্থীও হন। বিপক্ষে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা। বিজেপির এই প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন অনেকেই। তাঁদের মধ্যে একজন তথাগত রায়। যদিও তাতে গুরুত্ব দেয়নি দল। শ্রাবন্তীর প্রচারে এসেছিলেন খোদ অমিত শাহ। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। বিধানসভা নির্বাচনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন শ্রাবন্তী। তারপর থেকে আর বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে।
শেষমেশ বৃহস্পতিবার টুইটে দলত্যাগের কথা জানালেন শ্রাবন্তী। এরপরই বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দলেরই অনেকে। কেউ আবার তথাগত রায়কে সমর্থন করেছেন। বলেছেন, তথাগত রায়ের ‘নগরের নটী’ মন্তব্যে কোনও ভুল ছিল না। তবে শ্রাবন্তীর বিজেপি ত্যাগে যে দলের কোনও ক্ষতিই হবে না তা এদিন স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছে তথাগত রায়। তিনি বলেন, “গরীবের কথা বাসি হলে সত্যি হয়। বিজেপির কালীঘাটে পুজো দেওয়া উচিত। ঘাড় থেকে ভূত নামল।” শ্রাবন্তীর দলত্যাগে টুইটে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কেও আক্রমণ করেছেন তিনি।
দলত্যাগ প্রসঙ্গে টুইটে শ্রাবন্তীকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। ফেসবুকে তিনি লেখেন, “শ্রাবন্তীর মতো নেত্রী বিজেপি ছেড়ে যাওয়ায়, সংগঠনের যে ভয়ানক ক্ষতি হয়ে গেল। তা হয়তো ভবিষ্যতে কোনওদিন পূরণ হবে না।” শ্রাবন্তীর দলত্যাগ নিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেছেন, “শ্রাবন্তীর দল ছাড়াতে দলে কোনও প্রভাব পড়বে না। বিজেপি সংগঠন ভিত্তিক দল। মুখ দিয়ে দল চলে না।”
Be the first to comment