এবার তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। দলের শোচনীয় ফলের জন্য তিনি দায়ী করছেন তাঁদেরই। এখানেই শেষ নয়, প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অসম্মানিত হয়েছেন এই মর্মে তথাগত কাঠগড়ায় তুলছেন রাজ্য বিজেপির চার বর্ষীয়ান নেতাকেই। সেই তালিকায় রয়েছেন দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেননের নাম। প্রসঙ্গত এদিনই তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন শীর্ষ নেতারা।
এ দিন তথাগতবাবু একযোগে অনেকগুলি অভিযোগ করেছেন ট্যুইটারে। কখনও আত্মসমালোচনা, কখনও তৃণমূলত্যাগীদের নিয়ে বিষোদগার, ছত্রে ছত্রে অভিযোগ এসেছে। একটি ট্যুইটে তিনি লিখেছন, “কৈলাস, দিলীপ, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ-এই চারমাথায় প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মান ধুলোয় মিশিয়েছে। এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় দলের নাম খারাপ করেছেন। হেস্টিংসের শীর্ষে এবং সাততারা হোটেলে বসে তাঁরা তৃণমূলের আবর্জনাদের মধ্যে টিকিট বাঁটোয়ারা করেছেন। এখন দলীয় কর্মীদের তোপ থেকে বাঁচতে তাঁরা সেখানেই বসে আছেন। ভাবছেন এই ঝড় চলে যাবে।”
প্রসঙ্গত, তথাগতবাবুর ক্ষোভ পরাজিত তৃণমূল-ত্যাগী নব্য বিজেপির দিকেই। এই তৃণমূল ত্যাগীদের সম্পর্কে তথাগতর বাছাই মন্তব্য, “একঝাঁক নিম্নমানের অদূরদর্শী মানুষ যাদের কোনও রাজনৈতিক বোঝাপড়া নেই, অষ্টম শ্রেণি পাশ তাদের থেকে কি প্রত্যাশা করা হবে?”
তথাগতবাবু আরও মনে করেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের সঠিক দিশা দেখাতেই পারেনি রাজ্যের সংশ্লিষ্ট নেতা। তথাগতবাবুর অনুমান, এই ঘটনার ফলে দুটি গোষ্ঠী দল ছা়ড়বে। এর মধ্যে একদল হচ্ছেন তৃণমূল থেকে হঠাৎ আসারা, অন্যেরা হলেন বিজেপির পুরনো কার্যকর্তারা, যদি না তাদের নতুন পথের সন্ধান দেওয়া যায়।
প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেত্রী পায়েল সরকার, তনুশ্রীদের তিনি নগরীর নটী বলে সম্বোধন করেন। তাই নিয়ে দলের অন্দরেই তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের বিষয়টি জানানোর কথাও বলেন তনুশ্রী। এসবের পরেই আজ দিল্লিতে ডাক পড়েছে মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল, বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগতর।
Be the first to comment