শিক্ষক নিয়োগ বির্তক ঘিরে উত্তাল রাজ্য। একদিকে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হচ্ছেন একের পর এক হোমড়াচোমড়া। তো অন্যদিকে পথে বসে আন্দোলন চালাচ্ছেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। এর মাঝেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন গৌতম পাল। দায়িত্ব নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক করে বড় ঘোষণা করলেন তিনি।
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে গৌতমবাবু জানান, “এবার থেকে প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময় টেট হবে। নিয়োগে কোনও অস্বচ্ছতা থাকবে না। আমাদের নীতি হবে ‘জিরো গ্রিভান্স’।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু চাইছেন শিক্ষাক্ষেত্রে কোনওরকম অস্বচ্ছতা রাখতে চাইছেন না। দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে রাজ্য সরকার। নয়া দায়িত্ব নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়িত করতে চাইছেন পর্ষদের সভাপতি।
গৌতমবাবু আরও জানিয়েছেন, কোনও চাকরিপ্রার্থীর মনে কোনওরকম সংশয়, প্রশ্ন থাকলে তা তিনি দূর করবেন। প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন পর্ষদের সভাপতি। নিয়ম মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করায় জোর দেন তিনি। তবে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি গৌতমবাবু। সাফ জানিয়ে দিলেন, অনেক বিষয় এখন আদালতের বিচারাধীন। তাই তিনি কোনও মন্তব্য করবে না। তবে চারপাশে একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতির মধ্যে প্রতিবছর টেটের প্রতিশ্রুতি কি চাকরিপ্রার্থীদের মনে আশার আলো জাগাতে পারবে? সেই উত্তর দেবে সময়।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারিত হন মানিক ভট্টাচার্য। বদলে দায়িত্ব পান কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য গৌতম পাল। আমূল বদল আসে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাঠামোতেও। গৌতম পালের নেতৃত্ব তৈরি হয়েছে ১১ সদস্যের অ্যাড হক কমিটি। দায়িত্ব নিয়েই স্বচ্ছ নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিলেন সভাপতি।
Be the first to comment