তেহট্টের বার্নিয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত পাঁচজনের সংস্পর্শে এসেছিলেন এমন ৬৭ জনকে চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠালো জেলা প্রশাসন। তার মধ্যে যেমন রয়েছেন অটোচালক ও তাঁর পরিবার, তেমনই রয়েছেন দুই মাছ বিক্রেতা ও তাঁদের পরিবারও।
জানা গিয়েছে, বার্নিয়ার বাসিন্দা পাঁচজন পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন এমন ৪৯ জনকে প্রাথমিক ভাবে চিহ্নিত করি আমরা। পরে চিহ্নিত করা হয় আরও ১৮ জনকে। তাঁদের সবাইকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
তেহট্টের বার্নিয়া শ্রীকৃষ্ণপুরের বাসিন্দা ওই পরিবারের মোট ১৩ জন সদস্য। তাঁদের মধ্যে আটজন গত ১৬ মার্চ দিল্লিতে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। সেখানে ইংল্যান্ড থেকে আসা তাঁদের এক আত্মীয়ের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁরা। পরে ওই আত্মীয়ের শরীরে কোভিড-১৯ এর জীবাণু মেলে। দিল্লিতে এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। জানা গেছে তখনই ওই পরিবারের সবাইকে দিল্লিতে ১৪ দিন হোম কোয়ানেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছিল।
কিন্তু তেহট্টের পরিবারটি ১৯ মার্চ রাজধানী এক্সপ্রেস ধরে সকালে শিয়ালদহ স্টেশনে নামেন। এরপর দশটা কুড়ির লালগোলা ধরে বেথুয়াডহরি স্টেশনে নেমে অটো করে বাড়িতে ফেরেন। বাড়িতে পৌঁছানোর পরের দিন থেকেই এক মহিলার কাশি শুরু হয়। তৎক্ষণাৎ তেহট্ট হাসপাতালে গিয়ে ‘ট্রাভেল হিস্ট্রি’ এবং উপসর্গের কথা চিকিৎসকদের জানান ওই মহিলা। এরপর দিল্লি থেকে ফেরা ৮ জনকে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে রাখার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। কোয়ারেন্টাইন করা হয় পরিবারের বাকিদেরও। তাঁদের মধ্যে আটজনের লালারসের নমুনা পাঠানো হলে পাঁচজনেরই করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।
এদিন ডেপুটি সিএমওএইচ জানান, যে অটো করে তাঁরা রেলস্টেশন থেকে বার্নিয়া গিয়েছিলেন সেই অটো চালক ও তাঁর পরিবার, মাছ বাজারে যে দুজনের কাছ থেকে তাঁরা মাছ কিনেছিলেন সেই দুই মাছ বিক্রেতা ও তাঁদের পরিবার, এমনকী তাঁদের তাস খেলার সঙ্গীদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে। এঁদের প্রত্যেককে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে।
Be the first to comment