গত লোকসভায় যারা দুটি সিটে জিতেছিল, তাঁদেরকেই আরও ১৫টি আসন দিতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি। এটাই প্রমাণ করে নিজেদের অবস্থান টালমাটাল। বিহারের এনডিএ জোটের আসন রফা নিয়ে কটাক্ষ লালুপুত্র তেজস্বী যাদবের। এই বক্তব্য একেবারে অমূলক নয়, মত ওয়াকিবহাল মহলেরও।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে গেরুয়া শিবির। দর কষাকষির জায়গায় চলে এসেছে এনডিএ শরিকরা। বিহারের ৪০ আসনের লোকসভায় বিজেপি লড়বে ১৭টি আসনে। নিতীশের দলও লড়বে ১৭টি আসনে। বাকি ৬টি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে রাম বিলাস পাসোয়ানের এলজিপিকে।
অথচ, ২০১৪ সালের লোকসভায় ৪০টির মধ্যে ২২টিতেই জিতেছিল বিজেপি। সেখানে নিতীশের দল পেয়েছিল মাত্র ২টি আসন। কিন্তু, এখন পরিস্থিত পাল্টে গেছে। শরিকদের মান ভাঙাতে নিজেদের ৫টি জেতা আসন ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। অমিত শাহের এই সমঝোতায়, আপাত বিহারের সমস্যায় মিটেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে বাধ্য এনডিএ জোটের মধ্যে। এবার কিন্তু নিজেদের দাবি দাওয়া আরও জোরদার করতে পারে অন্য শরিকরাও। ফলে এখনই বিপদ কাটছে না।
Be the first to comment